ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান,বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

- আপডেট: ০৬:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
- / ১৮০১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাঙ্গামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে সেনা টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে পালানোর চেষ্টা করে ইউপিডিএফ সদস্যরা। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
পরে ইউপিডিএফের আস্তানা থেকে সাবমেশিনগান, দেশীয় বন্দুক, এলজি, অ্যামোনিশন, ওয়াকিটকি ও স্পাই ক্যামেরাসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ জুলাই (সোমবার দিনগত) রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন কর্তৃক ইউপিডিএফের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্র কারবারি ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকালে সশস্ত্র দলটি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে সেনা টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
এরপর তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর টহলদল একটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), তিনটি দেশীয় বন্দুক, একটি এলজি, একটি সাব-মেশিনগানের ম্যাগাজিন, একটি পোচ, ৭ রাউন্ড অ্যামোনিশন, ১৭টি গুলির খালি খোসা, ২৫টি বিভিন্ন লটের এসএমজির খালি খোসা, দুটি কার্তুজ, চারটি ওয়াকিটকি, একটি মটরোলা সেট, চারটি ওয়াকিটকি চার্জার, দুটি ক্যামেরা, একটি স্পাই ক্যামেরা সানগ্লাস, একটি স্পাই ক্যামেরা ডিভাইস চার্জার, তিনটি পেনড্রাইভ, চারটি ইউপিডিএফ সংগঠনের পতাকা, পাঁচটি ইউপিডিএফ সংগঠনের আর্ম ব্যান্ড এবং ১২টি বিভিন্ন প্রকারের বই উদ্ধার করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।