০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সালাউদ্দিন-আসিফ-শিপন-মিজান যেন টাকার খনি

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৮:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০০০

মোঃ মনিরুজ্জামান :

রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসের অফিস সহকারী-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. সালাউদ্দিন নাজিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আসিফ, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া ও সার্ভেয়ার  মিজানুর রহমান এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসে। এই শক্তিশালী চক্রের কাছে প্রতিনিয়ত হয়রানি, দুর্নীতি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। সেখানে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ দেয়ার পরও কাজ হচ্ছে না। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে তাদের নথিপত্র পর্যন্ত গায়েব করে দেয়া হচ্ছে। জাল দলিলে জমির নামজারি হয়ে যাচ্ছে অন্যের নামে। নামজারি, খারিজ, খাজনা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্যে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসে।

জানা গেছে, রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসের এই সিন্ডিকেট চক্রটি  প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন। তবে এই সিন্ডিকেটের মূল ভূমিকা রাখছেন অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া। যে সমস্ত নামজারী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, কানুনগো নামজারীর সপক্ষে প্রস্তাব দেয়ার পর যারা ঘুষের টাকা দিতে পারেন তাদের নামজারী মঞ্জুর করেন। আরা যারা ঘুষের টাকা না দিতে পারেন তাদের নামজারী না মঞ্জুর করেন। এতে করে হাজার হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এছাড়া  বহিরাগত  দালালের আখড়া পরিণত এমনি অভিযোগ উঠেছ। দালাল ছাড়া ফাইল লড়ে চড়ে না। এই চক্রটির কারিশমার ধারায় কাগজের কার্যক্রম  সমাধান করে থাকেন, ডিসি অফিস এবং সকলের সাথে তাদের রয়েছে অন্তরঙ্গার সম্পর্ক ।

সরজমিনে অনুসন্ধান দেখা যায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নানান পেশার মানুষক শিপন মিয়া বাহিনীর কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে। তাদের হিংস্র থাবা থেকে সংবাদকর্মীরাও রক্ষা পায়নি।  দেখা যায় ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসের আশেপাশে কিছু দালালের ভূমিকা দেশি রাজহাঁস মত যেভাবে পায় সেভাবেই খেতে চায়। নিয়ম-কানুন ভুলে গেছে তারা কি! কি দায়িত্ব! এমনি কার্যক্রমের ভিডিওফুটেজ দেখা যায়। খিলক্ষেত দালালের খপ্পরে ভরে গেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিস। ইতিপূর্বে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান। অপরাধীদের কর্মকান্ড কারণে ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি। নানান দুর্নীতি অপরাধ কর্মের কারণে এমনইটাই হতে যাচ্ছে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে।  নানান অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষনীতি, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তোলার খবর পর্দার আড়ালে রয়ে যায় অজানা কাহিনী।

সার্ভেয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (মিজান) গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ খান। মিজানের সাথে অন্তরঙ্গ সু সম্পর্ক দালালও বহিরাগতদের সবুজ নিয়ন্ত্রণ করে সার্ভেয়ার মিজানের আইডি। তিনি শুধু নির্দেশ দাতা। অভিযোগ রয়েছে শুধু মিজান নয় বহু মিজান মনগড়া মত অফিস পরিচালনায় ব্যস্ত যেখানে নেই কোন নিয়ম-শৃঙ্খলা, রয়েছে শুধু অনিয়ম দুর্নীতি। ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এর মিজানের ভিডিও ফুটেছে স্পষ্ট সেবা মান কতটুকু সুরক্ষিত।  কয়েকজন গ্রাহক প্রতিবেদকে বলেন অফিস সহকারী-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. সালাউদ্দিন নাজিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আসিফ, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া ও সার্ভেয়ার  মিজানুর রহমান এর নিজস্ব সিন্ডিকেট, একক সেচ্চাচারীতা ও সর্বোচ্চহারে ঘুষ আদায়ের এক পৈচাশিক আবাসস্থল গড়ে তুলেছেন। টাকা ছাড়া এই চার’জনের কাছে থেকে সেবা না পাওয়া ভূমি জোতদারদের ভাষ্যমতে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের সার্ভেয়ার মিজান (৫০) ( সাইফুল (৩২) বহিরাগত ডিসি অফিস নিয়ে সর্বক্ষণে ব্যস্ত থাকেন সে। নাম্র কাজে নয় অন লাইন (বাবুল) নামে পরিচিত একটি দোকান খুলে বসেছেন তিনি ।  ভূমি অফিসের দুজন সিনিয়র ব্যক্তি’র (সার্ভেয়ার ও কানুনগো) মাধ্যমে যখন কোনো নামজারি নথি এসিল্যান্ড বরাবর না মঞ্জুরের সুপারিশ করা হয়, তখন ভূমি সহকারী কমিশনার মহাদয়ের আর কিছুই করার থাকে না। কমিশনার সাহেবও তখন তাদের তালে তাল মিলিয়ে সাক্ষর করেন সার্ভেয়ার ওর ভাষ্যমতে নামজারি ও জমাভাগের কেইসটি না মঞ্জুর করা হলো! এই যদি হয় ভূমি সেবা! মানুষ যাবে কোথায় ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসে সেবা নিতে আসা অসহায় ভূমি মালিকদের মুখে মুখে শোনা যায় ‘অত্র অফিসের ঘুষখোর প্রাণির নাম সার্ভেয়ার (মিজান) অললাইন (বাবুল) পিচ্ছি সাইফুল ওরফে (দালাল), অফিস সহকারী-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. সালাউদ্দিন নাজিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আসিফ, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া ও সার্ভেয়ার  মিজানুর রহমান  নামজারি নথি বা কেইস বাতিল করে যেন ভবিষ্যতে কোনো জবাবদিহির মখোমুখি না হতে হয় তারও বহু কৌশল তাদের নিজস্ব ফরমেটে তৈরি করা আছে। একটা নির্ভেজাল কাজে তাদের চাহিদা মতো টাকা না পেলে নামজারি বাতিলের সুপারিশ এমন ‘মূল কাগজপত্র বা দলিল প্রদর্শন না করায় অত্র নামজারি না মঞ্জুর করা যেতে পারে’! অথচ, তাদের সিন্ডিকেট বাহিনির বেলায় এ ধরনের কোনো অযুহাত নেই এবং সারাদিনে দু চারটি মূল দলিল বা মূল কাগজ দেখেছে এরকম নজির খুবই কম। আবার হয়তো কারো কারও নামজারি নথিতে মনগড়াভাবে লিখে রাখে নকশা, পেন্টা লাগবে বিধায় না মঞ্জুরের সুপারিশ! আবেদনকারী নিজে উপস্থিত না থাকায়; না মঞ্জুরের সুপারিশ! অথবা দলিল দাতার/গ্রহিতার বাবার/মায়ের নামের এক অক্ষর ভুল বা এ-কার নাই। আ-কার নাই বা ও-কার নাই, এইসব নিয়েও না মঞ্জুরের সুপারিশ! ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট ছয়মাস থেকে এক বছরের পুরোনো হলেই তারা সরকারি নির্দেশনা দেখাবে যে- চলবে না, নিম্নতম তিন মাসের আপডেট লাগবে। সাধারণ পাবলিকের কাজে এরকম আপডেট কাগজ না থাকলেও নামজারি বাতিলের সুপারিশ করা হয়! অথচ, এমনও খারিজ ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে; যার ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট একদম জাল, ফুটপাত থেকে বানানো, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তা কোনো স্থানীয় চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত নয়। শুধু তাই নয় ২০২৩ সালের নামজারিতে ২০১০ সালের হাতে লেখা সম্পূর্ণ এনালক পদ্ধতির ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট লাগিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খারিজ করে দেওয়ার কূ-কীর্তির অভিযোগ শোনা যায়। সেবাপ্রার্থী লোকজনের মুখ থেকে জানা যায় ‘তারা এখানে আসছে শুধু টাকা কামাতে, এখান থেকে যা পারে কামিয়ে নিয়ে অন্য কোথাও বদলি হয়ে যাবে। একই কাগজ বা দলিল পর্চা দিয়ে আবেদনকৃত বহু নামজারি কেইস বাতিল হয়েছে শুধুমাত্র নির্ধারিত ঘুষের টাকা না দেওয়ার কারণে। সেই একই কাগজপত্র ও দলিল পর্চা দিয়ে পূনরায় আবেদন করে যথাযথভাবে সার্ভেয়ার। নির্ধারিত ফি পরিশোধে খারিজ ডেলিভারি নেওয়ার নজির আছে শত শত! তাদের সেই নির্ধারিত ফিস গ্রহণের জন্য আছে নিজস্ব জনবল ও গোপন হিসাবের খাতা। সে খাতা এবং নগদ টাকা জমা রাখেন সিন্ডিকেট বাহিনী। ওদের ভিতরে বিশ্বস্থ ক্যাশিয়ার হিসাব রাখে। বহিরাগত যিনি নন অফিসিয়ালম্যান হয়েও বীরের মতো কাজ করছেন। এসিল্যান্ড অফিসে মাষ্টাররুলে চাকরি করাবস্থায় দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো! সেই ছেলেটিই ভাই মিজানের বিশ্বস্ত কর্মী বলে অভিযোগ সীমাহীন। তার ভাই আবারও এসিল্যান্ড অফিসে! ভাবা যায় নিজেদের লোক সেটিংস এর সুবিধার্থে পুরাতন মাষ্টাররুলে চাকুরীরত লোকদের বিভিন্নভাবে বিতাড়িত করে পাকাপোক্তভাবে গড়েছেন ঘুষ দুর্নীতির আখড়া! উপরে বর্ণিত অপরাধগুলো খুবই সামান্যতম মনে হবে যদি শোনা যায় কাজের ধরন বুঝে ঘুষের টাকার অংক নির্ধাারণ করে দেওয়া হয়! ডিসিআর ফি সরকার নির্ধারিত ১১৫০ টাকা বর্তমানে অনলাইনে জমা নিলেও নাজির শাখায় এক্সট্রা ৫০০-৭০০ টাকা জমা দিয়ে তারপর আগত ও চলমান জোত খতিয়ান পোষ্টিং নিতে হয়। নামজারির সর্বশেষ ধাপে এসে উক্ত বর্ণিত নামজারির ফি বাদে এক্সট্রা টাকাটা না দিলে জোত খতিয়ান আর পোষ্টিং দেওয়া হয় না।  কয়েকদিন পরে গ্রাহক জানতে পারে, পেন্ডিং জটিলতার কারণে তার নামজারি জমাভাগের প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে! এই সমস্যাটি ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসে বর্তমানে মারাত্মক ভয়াবহ ও মহামারীর রুপ ধারণ করেছে! এর সম্পূর্ণ দায়ভার ও দোষ চাপানো হচ্ছে সাধারণ জনতার কাঁধে। বলা হচ্ছে- সময়মত ডিসিআর ফি জমা না দেওয়ায় অটো বাতিল হয়েছে! অথচ, ডিসিআর ফি জমা দেওয়ার কোনো ম্যাসেজ-ই আসেনি। মূলত অফিসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে বড় বাবু সাহেব যাকে যেখানে যেভাবে সেটিং করে দিয়েছে, সে সেভাবেই তাদের সিন্ডিকেটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। জনগণের কথা ভাবার মতো সময় তাদের নেই। সে জন্য নেজারত শাখায় ঢুকলেই দেখা যায় এখানে কেউ হয়তো কাজ করতে আসেনি, মনে হয় সবাই বিকাশ, রকেট ও নগদের ডিলারশীপ নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করছেন। সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র সাথে কাজ করা একজনের সাক্ষাৎকারে জানা যায় (যা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত), ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ পুরো এসিল্যান্ড অফিসটাকে আঙ্গুলে তুলে নাচাচ্ছেন ৩ জন অথবা ৪ জন সরকারি অফিসিয়ালি স্টাফ। কেউ প্রতিবাদ করলে হুংকার দিয়ে বলেন এসিল্যান্ডকে আমি বুঝাবো, আপনার কিছু বোঝার দরকার নাই, অফিস কিভাবে চালাতে হয়, আপনে শুধু দেখবেন। আগেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল (শিপন) তবুও বহাল তবিয়তে ঘাপটি মোড়ে বসে আছে ক্যান্টেমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে শিপন। বদলি হয়েছে শিপন তবুও অজানা রহস্যময় কারণে এখানেই রয়ে যায় তিনি। অনুসন্ধানে আরো চাঞ্চল্য তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায় টেবিলে বিভিন্ন কাজের রেট। এল, এ  ১৩৮ ঘুষের রেট  ৩২০০০, পাট ভিপি ২০,০০০, পরিত্যক্ত ১,৮০,০০০,   খ-তালিকা ৫০,০০০,  ভুক্ত ১/১ খতিয়ান ৮০,০০০ টাকা, আসিয়ান রিট  ১৮০,০০০ টাকা, এইভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে ভূমি  গ্রাহকদের জিম্মি করে ঘুষ আদায় করে এই চক্রটি। তাদের ঔদ্ধোত্বপূর্ণ আচরণ ও অহমিকামূলক কথাবার্তায় বোঝা যায়; তারা এসিল্যান্ড অফিসে রাজ করতে এসেছে। লুট করতে এসেছে, শোষন করতে এসছে! তারা কোনো পাবলিক সেবা দিতে আসেনি! দীর্ঘদিন যাবত এই চক্রটি ঘুষ বাণিজ্যে সোবা প্রত্যাশিদের হয়রানীতে সক্রিয় থাকায় তাদের কর্মকান্ডে সাধারণ ভূমি সেবা প্রত্যাশীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সালাউদ্দিন-আসিফ-শিপন-মিজান যেন টাকার খনি

আপডেট: ০৮:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

মোঃ মনিরুজ্জামান :

রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসের অফিস সহকারী-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. সালাউদ্দিন নাজিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আসিফ, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া ও সার্ভেয়ার  মিজানুর রহমান এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসে। এই শক্তিশালী চক্রের কাছে প্রতিনিয়ত হয়রানি, দুর্নীতি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। সেখানে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ দেয়ার পরও কাজ হচ্ছে না। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে তাদের নথিপত্র পর্যন্ত গায়েব করে দেয়া হচ্ছে। জাল দলিলে জমির নামজারি হয়ে যাচ্ছে অন্যের নামে। নামজারি, খারিজ, খাজনা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্যে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসে।

জানা গেছে, রাজধানীর খিলক্ষেতস্থ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসের এই সিন্ডিকেট চক্রটি  প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন। তবে এই সিন্ডিকেটের মূল ভূমিকা রাখছেন অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া। যে সমস্ত নামজারী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, কানুনগো নামজারীর সপক্ষে প্রস্তাব দেয়ার পর যারা ঘুষের টাকা দিতে পারেন তাদের নামজারী মঞ্জুর করেন। আরা যারা ঘুষের টাকা না দিতে পারেন তাদের নামজারী না মঞ্জুর করেন। এতে করে হাজার হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এছাড়া  বহিরাগত  দালালের আখড়া পরিণত এমনি অভিযোগ উঠেছ। দালাল ছাড়া ফাইল লড়ে চড়ে না। এই চক্রটির কারিশমার ধারায় কাগজের কার্যক্রম  সমাধান করে থাকেন, ডিসি অফিস এবং সকলের সাথে তাদের রয়েছে অন্তরঙ্গার সম্পর্ক ।

সরজমিনে অনুসন্ধান দেখা যায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নানান পেশার মানুষক শিপন মিয়া বাহিনীর কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে। তাদের হিংস্র থাবা থেকে সংবাদকর্মীরাও রক্ষা পায়নি।  দেখা যায় ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে এসিল্যান্ড অফিসের আশেপাশে কিছু দালালের ভূমিকা দেশি রাজহাঁস মত যেভাবে পায় সেভাবেই খেতে চায়। নিয়ম-কানুন ভুলে গেছে তারা কি! কি দায়িত্ব! এমনি কার্যক্রমের ভিডিওফুটেজ দেখা যায়। খিলক্ষেত দালালের খপ্পরে ভরে গেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিস। ইতিপূর্বে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান। অপরাধীদের কর্মকান্ড কারণে ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি। নানান দুর্নীতি অপরাধ কর্মের কারণে এমনইটাই হতে যাচ্ছে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে।  নানান অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষনীতি, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তোলার খবর পর্দার আড়ালে রয়ে যায় অজানা কাহিনী।

সার্ভেয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (মিজান) গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ খান। মিজানের সাথে অন্তরঙ্গ সু সম্পর্ক দালালও বহিরাগতদের সবুজ নিয়ন্ত্রণ করে সার্ভেয়ার মিজানের আইডি। তিনি শুধু নির্দেশ দাতা। অভিযোগ রয়েছে শুধু মিজান নয় বহু মিজান মনগড়া মত অফিস পরিচালনায় ব্যস্ত যেখানে নেই কোন নিয়ম-শৃঙ্খলা, রয়েছে শুধু অনিয়ম দুর্নীতি। ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এর মিজানের ভিডিও ফুটেছে স্পষ্ট সেবা মান কতটুকু সুরক্ষিত।  কয়েকজন গ্রাহক প্রতিবেদকে বলেন অফিস সহকারী-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. সালাউদ্দিন নাজিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আসিফ, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া ও সার্ভেয়ার  মিজানুর রহমান এর নিজস্ব সিন্ডিকেট, একক সেচ্চাচারীতা ও সর্বোচ্চহারে ঘুষ আদায়ের এক পৈচাশিক আবাসস্থল গড়ে তুলেছেন। টাকা ছাড়া এই চার’জনের কাছে থেকে সেবা না পাওয়া ভূমি জোতদারদের ভাষ্যমতে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের সার্ভেয়ার মিজান (৫০) ( সাইফুল (৩২) বহিরাগত ডিসি অফিস নিয়ে সর্বক্ষণে ব্যস্ত থাকেন সে। নাম্র কাজে নয় অন লাইন (বাবুল) নামে পরিচিত একটি দোকান খুলে বসেছেন তিনি ।  ভূমি অফিসের দুজন সিনিয়র ব্যক্তি’র (সার্ভেয়ার ও কানুনগো) মাধ্যমে যখন কোনো নামজারি নথি এসিল্যান্ড বরাবর না মঞ্জুরের সুপারিশ করা হয়, তখন ভূমি সহকারী কমিশনার মহাদয়ের আর কিছুই করার থাকে না। কমিশনার সাহেবও তখন তাদের তালে তাল মিলিয়ে সাক্ষর করেন সার্ভেয়ার ওর ভাষ্যমতে নামজারি ও জমাভাগের কেইসটি না মঞ্জুর করা হলো! এই যদি হয় ভূমি সেবা! মানুষ যাবে কোথায় ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসে সেবা নিতে আসা অসহায় ভূমি মালিকদের মুখে মুখে শোনা যায় ‘অত্র অফিসের ঘুষখোর প্রাণির নাম সার্ভেয়ার (মিজান) অললাইন (বাবুল) পিচ্ছি সাইফুল ওরফে (দালাল), অফিস সহকারী-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. সালাউদ্দিন নাজিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আসিফ, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ শিপন মিয়া ও সার্ভেয়ার  মিজানুর রহমান  নামজারি নথি বা কেইস বাতিল করে যেন ভবিষ্যতে কোনো জবাবদিহির মখোমুখি না হতে হয় তারও বহু কৌশল তাদের নিজস্ব ফরমেটে তৈরি করা আছে। একটা নির্ভেজাল কাজে তাদের চাহিদা মতো টাকা না পেলে নামজারি বাতিলের সুপারিশ এমন ‘মূল কাগজপত্র বা দলিল প্রদর্শন না করায় অত্র নামজারি না মঞ্জুর করা যেতে পারে’! অথচ, তাদের সিন্ডিকেট বাহিনির বেলায় এ ধরনের কোনো অযুহাত নেই এবং সারাদিনে দু চারটি মূল দলিল বা মূল কাগজ দেখেছে এরকম নজির খুবই কম। আবার হয়তো কারো কারও নামজারি নথিতে মনগড়াভাবে লিখে রাখে নকশা, পেন্টা লাগবে বিধায় না মঞ্জুরের সুপারিশ! আবেদনকারী নিজে উপস্থিত না থাকায়; না মঞ্জুরের সুপারিশ! অথবা দলিল দাতার/গ্রহিতার বাবার/মায়ের নামের এক অক্ষর ভুল বা এ-কার নাই। আ-কার নাই বা ও-কার নাই, এইসব নিয়েও না মঞ্জুরের সুপারিশ! ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট ছয়মাস থেকে এক বছরের পুরোনো হলেই তারা সরকারি নির্দেশনা দেখাবে যে- চলবে না, নিম্নতম তিন মাসের আপডেট লাগবে। সাধারণ পাবলিকের কাজে এরকম আপডেট কাগজ না থাকলেও নামজারি বাতিলের সুপারিশ করা হয়! অথচ, এমনও খারিজ ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে; যার ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট একদম জাল, ফুটপাত থেকে বানানো, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তা কোনো স্থানীয় চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত নয়। শুধু তাই নয় ২০২৩ সালের নামজারিতে ২০১০ সালের হাতে লেখা সম্পূর্ণ এনালক পদ্ধতির ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট লাগিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খারিজ করে দেওয়ার কূ-কীর্তির অভিযোগ শোনা যায়। সেবাপ্রার্থী লোকজনের মুখ থেকে জানা যায় ‘তারা এখানে আসছে শুধু টাকা কামাতে, এখান থেকে যা পারে কামিয়ে নিয়ে অন্য কোথাও বদলি হয়ে যাবে। একই কাগজ বা দলিল পর্চা দিয়ে আবেদনকৃত বহু নামজারি কেইস বাতিল হয়েছে শুধুমাত্র নির্ধারিত ঘুষের টাকা না দেওয়ার কারণে। সেই একই কাগজপত্র ও দলিল পর্চা দিয়ে পূনরায় আবেদন করে যথাযথভাবে সার্ভেয়ার। নির্ধারিত ফি পরিশোধে খারিজ ডেলিভারি নেওয়ার নজির আছে শত শত! তাদের সেই নির্ধারিত ফিস গ্রহণের জন্য আছে নিজস্ব জনবল ও গোপন হিসাবের খাতা। সে খাতা এবং নগদ টাকা জমা রাখেন সিন্ডিকেট বাহিনী। ওদের ভিতরে বিশ্বস্থ ক্যাশিয়ার হিসাব রাখে। বহিরাগত যিনি নন অফিসিয়ালম্যান হয়েও বীরের মতো কাজ করছেন। এসিল্যান্ড অফিসে মাষ্টাররুলে চাকরি করাবস্থায় দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো! সেই ছেলেটিই ভাই মিজানের বিশ্বস্ত কর্মী বলে অভিযোগ সীমাহীন। তার ভাই আবারও এসিল্যান্ড অফিসে! ভাবা যায় নিজেদের লোক সেটিংস এর সুবিধার্থে পুরাতন মাষ্টাররুলে চাকুরীরত লোকদের বিভিন্নভাবে বিতাড়িত করে পাকাপোক্তভাবে গড়েছেন ঘুষ দুর্নীতির আখড়া! উপরে বর্ণিত অপরাধগুলো খুবই সামান্যতম মনে হবে যদি শোনা যায় কাজের ধরন বুঝে ঘুষের টাকার অংক নির্ধাারণ করে দেওয়া হয়! ডিসিআর ফি সরকার নির্ধারিত ১১৫০ টাকা বর্তমানে অনলাইনে জমা নিলেও নাজির শাখায় এক্সট্রা ৫০০-৭০০ টাকা জমা দিয়ে তারপর আগত ও চলমান জোত খতিয়ান পোষ্টিং নিতে হয়। নামজারির সর্বশেষ ধাপে এসে উক্ত বর্ণিত নামজারির ফি বাদে এক্সট্রা টাকাটা না দিলে জোত খতিয়ান আর পোষ্টিং দেওয়া হয় না।  কয়েকদিন পরে গ্রাহক জানতে পারে, পেন্ডিং জটিলতার কারণে তার নামজারি জমাভাগের প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে! এই সমস্যাটি ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসে বর্তমানে মারাত্মক ভয়াবহ ও মহামারীর রুপ ধারণ করেছে! এর সম্পূর্ণ দায়ভার ও দোষ চাপানো হচ্ছে সাধারণ জনতার কাঁধে। বলা হচ্ছে- সময়মত ডিসিআর ফি জমা না দেওয়ায় অটো বাতিল হয়েছে! অথচ, ডিসিআর ফি জমা দেওয়ার কোনো ম্যাসেজ-ই আসেনি। মূলত অফিসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে বড় বাবু সাহেব যাকে যেখানে যেভাবে সেটিং করে দিয়েছে, সে সেভাবেই তাদের সিন্ডিকেটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। জনগণের কথা ভাবার মতো সময় তাদের নেই। সে জন্য নেজারত শাখায় ঢুকলেই দেখা যায় এখানে কেউ হয়তো কাজ করতে আসেনি, মনে হয় সবাই বিকাশ, রকেট ও নগদের ডিলারশীপ নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করছেন। সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র সাথে কাজ করা একজনের সাক্ষাৎকারে জানা যায় (যা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত), ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ পুরো এসিল্যান্ড অফিসটাকে আঙ্গুলে তুলে নাচাচ্ছেন ৩ জন অথবা ৪ জন সরকারি অফিসিয়ালি স্টাফ। কেউ প্রতিবাদ করলে হুংকার দিয়ে বলেন এসিল্যান্ডকে আমি বুঝাবো, আপনার কিছু বোঝার দরকার নাই, অফিস কিভাবে চালাতে হয়, আপনে শুধু দেখবেন। আগেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল (শিপন) তবুও বহাল তবিয়তে ঘাপটি মোড়ে বসে আছে ক্যান্টেমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে শিপন। বদলি হয়েছে শিপন তবুও অজানা রহস্যময় কারণে এখানেই রয়ে যায় তিনি। অনুসন্ধানে আরো চাঞ্চল্য তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায় টেবিলে বিভিন্ন কাজের রেট। এল, এ  ১৩৮ ঘুষের রেট  ৩২০০০, পাট ভিপি ২০,০০০, পরিত্যক্ত ১,৮০,০০০,   খ-তালিকা ৫০,০০০,  ভুক্ত ১/১ খতিয়ান ৮০,০০০ টাকা, আসিয়ান রিট  ১৮০,০০০ টাকা, এইভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে ভূমি  গ্রাহকদের জিম্মি করে ঘুষ আদায় করে এই চক্রটি। তাদের ঔদ্ধোত্বপূর্ণ আচরণ ও অহমিকামূলক কথাবার্তায় বোঝা যায়; তারা এসিল্যান্ড অফিসে রাজ করতে এসেছে। লুট করতে এসেছে, শোষন করতে এসছে! তারা কোনো পাবলিক সেবা দিতে আসেনি! দীর্ঘদিন যাবত এই চক্রটি ঘুষ বাণিজ্যে সোবা প্রত্যাশিদের হয়রানীতে সক্রিয় থাকায় তাদের কর্মকান্ডে সাধারণ ভূমি সেবা প্রত্যাশীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে।