প্রধান উপদেষ্টা যেই মাসে বলছে ওই মাসেই নির্বাচন হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট: ০২:৩১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৮০০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন তার উপরে আমাদের কারো কোন কথা নেই। স্যার যে তারিখে বলেছে ওই তারিখেই নির্বাচন হবে। যেই মাসে বলছে ওই মাসেই নির্বাচন হবে।
শনিবার (১৬আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটে আসেন। এরপর পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি।
রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না সেটা জোর গলায় বলছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,রাজনীতির ব্যাপারে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন তার উপরে আমাদের কারো কোন কথা নেই। স্যার যে বলছে ওই তারিখে নির্বাচন হবে। যেই মাসে বলছে ওই মাসেই নির্বাচন হবে। কে কি বলল ওইটা শোনার আমাদের কোন দরকার নেই।
নির্বাচন ঠেকাতে আপনারা কতটুকু প্রস্তুত জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে হলে প্রথম প্রস্তুতির দরকার হলো রাজনৈতিক পার্টিগুলির। জনগণ যখন নির্বাচনের মুখী হয়ে যাবে কেউ এটাকে বাধা দিতে পারবে না। রাষ্ট্রের ক্ষমতা জনগণের হাতে। জনগণ যে সময়ে নির্বাচনের দিকে চলে যাবে কারো কোন শক্তি নাই নির্বাচন বন্ধ করার।
এসময় তিনি আজকের পরিদর্শনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, আমরা এখানে আজকে আসার উদ্দেশ্য ছিল হল, দুইটা জিনিস দেখা। দেশে পানি বেড়ে যাচ্ছে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় শাক সবজি অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এইজন্য বাজারে কিন্তু একটুখানি শাক সবজির দাম একটু বেড়ে গেছে। কিন্তু ওদিক দিয়ে আবার আলু,আমাদের স্টোরে প্রচুর আলু পরে রয়েছে। কৃষকেরা আলুর দামও পাচ্ছে না। এখানে দেখেন কারন বাজার থেকে এখানে আলু এক কেজি দামে চার টাকা,পাঁচ টাকা,৬ টাকা ডিফারেন্স। আলুর দাম এতো ডিফারেন্ট হওয়ায় ভোক্তারাও যেরকম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কৃষকও কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষক যদি আলুর দাম না পায় আগামীবার তারা কিন্তু আলু বুনবে না। আলু না বুনলে কিন্তু আবার আলুর দাম বেড়ে যাবে। তাই প্রত্যেকটা ভোক্তারও যেন সুবিধা হয়। কৃষকের জন্য সুবিধা হয় ওই পর্যায়ে কিন্তু একটা দাম রাখতে হয়।
কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় যে মধ্যসত্তভুগি যারা আছেন তারা একটা কিন্তু দামটা অনেক বাড়ায় দেয়। কৃষকও ভালো দাম পায় না। ভোক্তারাও বেশি দামে কিনতে হয়। তাই আমি চাই মধ্যসত্ত ভোগী যারা আছেন তাদের একটু লাভ করার স্পিডটা এটা একটু কমিয়ে আনতে হবে। আর মধ্যসত্ত্ব ভোগীরাই কিন্তু উচ্চ শ্রেণী। তারাই কিন্তু সমাজের উচ্চ শ্রেণী এবং তারাই কিন্তু বেশিটা লাভ করে যায়। এটারে কিভাবে কন্ট্রোল করা যায় আপনাদের আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এটা করা সম্ভব না। আর অন্যান্য জিনিসের দাম আপনারাও দেখলেন মার্কেটে। মোটামুটি সহনশীল আছে। কিন্তু সবজির দামটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু বেড়ে গেছে। আবার আলুর দামটা কমে গেছে। এটারে আমাদের একটা ব্যালেন্স করতে হবে।
তিনি বলেন,আরেকটা জিনিস হলো পলিথিন। এই পলিথিনের জন্য কিন্তু আমাদের মাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারপরে এই পলিথিনটা কিন্তু কোন অবস্থায় নষ্ট হয় না। অনেক সময় পানি আটকে যায় পলিথিনের জন্য। পলিথিনের কোন উপকারিতাই নাই। এটার অপকারিতেই সবচেয়ে বেশি। আর আমরা যদি এই পলিথিনটা বন্ধ করতে পারি আমাদের পাটের ব্যাগ যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি। যেহেতু একসময় আমাদের কিন্তু পাটের একটা বিরাট চাহিদা ছিল। এখন কৃষকরা কিন্তু পাটের ওরকম দাম পায় না। এখন আপনারা যদি পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে, পাটের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করেন তবে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবে। আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত জিনিস হবে এবং পরিবেশের জন্য একটা ভালো জিনিস হবে। তাই আপনাদের কাছে সবাইকে কাছে অনুরোধ করবো আপনারা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করেন।