যশোর বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালকের নামে বেনামে সম্পদের পাহাড়

- আপডেট: ০৯:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৮০০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যশোর কার্যালয়ের মোটরযানের সহকারি পরিচালক এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি। যেখানে চাকরি করেছেন সেখানে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরে জন্মস্থান নেয়া এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দোসর হিসাবে পরিচিত। যশোর বিআরটিএ যোগদানের পর থেকে দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য চক্র গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিগত সময়ের মতো ফ্যাসিস্ট কায়দায় অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে এই কর্মকর্তা। এএসএম ওয়াজেদ হোসেনের নামে বেনামে আছে অঢেল অর্থ সহায় সম্পদ। সহকারি পরিচালক এ এসএম ওয়াজেদ যশোর কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে দুর্নীতিবাজ চক্র তৈরি করতে একটুও সময় সময় নেননি। সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দালাল চক্রকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে তাদের এখানে সমস্যা ওই খানে সমস্যা দেখিয়ে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন। এ মোটরযান কার্যালয়ের অসাধু কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারিদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে ফিটনেস বিহীন গাড়ি ঘুষের বিনিময়ে ফিটনেস প্রদান করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এসব ফিটনেস গাড়ি যখন মহাসড়কে চলাচল করে তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু এই ঘটনা নয় এ এসএম ওয়াজেদ চক্র মোটরসাইকেল পরিদর্শনের ক্ষেত্রে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে ঘুষ নিয়ে থাকে। সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার পাঁয়তারা যশোর বিআরটিএর সহকারি পরিচালক এএসএম ওয়াজেদ হোসেন চক্র। অনিয়মে অর্জিত অর্থে ওয়াজেদ নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। অনুসন্ধানে জানাযায়, এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন সহকারী পরিচালক বিআরটিএ যশোহর সার্কেল এ কর্মরত আছেন। এ এস এম ওয়াজির হোসেন, মাজেদা খাতুন দম্পতির সন্তান এএসএম ওয়াজেদ হোসেন। ১৯৭৬ সালের ১ মার্চ ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুরে এএসএম ওয়াজেদ হোসেন জন্ম গ্রহণ করে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ২৩৯২২৫১৯০২, টি আই এন নং- ৪৪২৫২৬৯৫৭৯১৯ কর সার্কেল- ৭২, কর অঞ্চল- ০৪ ঢাকা। স্ত্রী দেল আফরুজা বেগম একজন গৃহিনী। ওয়াজি উল্লাহ ও মোহসীনা বেগম দম্পতির সন্তান দেল আফরুজা বেগম ১৯৭৯ সালের ৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করে। জাতীয় পরিচয় নং-৪১৯২২৩৪৭২৪, টি আই এর নং- ৩৯৮৯৬৫৭৪০৭৬৬, কর সার্কেল- ১৮, কর অঞ্চল-১ ঢাকা। ওয়াজেদ বিআরটিএতে গ্রাহক হয়রানি করার উদ্দেশ্যে কয়েক ডজন দালাল নিয়োগ করে প্রতিনিয়ত দালাল সিডিকেট এর মাধ্যমে প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ ভাবে নিজে ও তার স্ত্রীকে কোটি কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। তার স্ত্রী এজন গৃহীনি হওয়া সত্বও কি ভাবে কোটি কোট টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে এমন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের দুইজনের অবৈধ সম্পদের আংশিক তুলে ধরা হলো। বাসা নং-০২(৩তলা), রোড- ১২, সেক্টর- ১৪. উত্তরা মডেল টাউন উত্তরা ঢাকা-১২৩০। এ বাসায় তাদের দুইজনের দুটি আলিসান ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাট দুটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। মিরপুরে বর্ধিত পল্লবী ঢাকায় তার স্ত্রী দেল আফরুজার নামে একটি ৬ তলা বাড়ি রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা শহরে তার স্ত্রীর নামে একটি ৫ তলা বাড়ি রয়েছে। গাজীপুরের চৌরাস্তায় অনিক প্লাজায় তার স্ত্রীর নামে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় করে তিনটি দোকান ক্রয় করেছে। ঢাকা জেলার সাভারে বিরুলিয়া মৌজায় তার স্ত্রীর নামে ২০ কাটা জমি ক্রয় করছে, যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। বগুড়া জেলা শহরে তার স্ত্রীর নামে একটি ৬ তলা বাড়ি ও ৪ টি দোকান ক্রয় করেছে। ওয়াজেদ হোসেনর স্ত্রী একটি বিলাশ বহুল গাড়ি ব্যবহার করেন, গাড়িটির মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। এছাড়াও ওয়াজেদ এর নামে বেনামে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, রয়েছে। তার স্ত্রীর বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে। উপরোক্ত বিষয়গুলো তদন্ত করলে আরো গুরুত্বপুন তথ্য পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে জানার জন্য যশোর বিআরটিএর সহকারি পরিচালক এএসএম ওয়াজেদ হোসেনের সাথে মোরাইলে যোগাযোগ করার জন্য বারবার ফোন করলেও ফোন রিসিপ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।