মুক্তিপণের দাবিতে শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা,র্যাবের অভিযানে হাড়-খুলি উদ্ধার,ঘাতক গ্রেফতার

- আপডেট: ০২:১১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৮০১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন মধুপুর ফারুকনগর এলাকায় ৫ বছরের শিশুর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। এছাড়া নিহত শিশুর মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি মোরসালিন হোসেন গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য জানান।
র্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে,ভিকটিম মো.জোনাইদ হোসেনের পিতা একজন রাজমিস্ত্রি এবং মা গার্মেন্টসকর্মী। দীর্ঘ দিন যাবৎ আসামি মোরসালিন হোসেন ও ভিকটিমের পরিবার একই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। ১৬ আগস্ট ভিকটিমকে তার নিজ বাসার সামনে থেকে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে আসামি মোরসালিন হোসেন অপহরণ করে। ঐ দিন অপহরণকারী ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার মধুপুর ফারুকনগর এলাকার একটি ঝোপের ভিতর নিয়ে গিয়ে গলায় গেঞ্জি পেচিয়ে টান দিলে ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং মারা যায়। তখন মো.মোরসালিন হোসেন ভিকটিমের পরিবারে নিকট মুক্তিপণের দাবির কথা চিন্তা করে কিন্তু ইতোমধ্যে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তখন আসামি মো.মোরসালিন হোসেন নিজেকে ধরা ছোয়ার বাইরে রাখতে ভিকটিমের পরিবারের সাথে জোনাইদ হোসেনকে খুঁজতে থাকে।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কোথাও না পেয়ে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। কিছুদিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আসামি মোরসালিন হোসেন ভাবে এখনি মুক্তিপণ আদায়ের সঠিক সময় এবং ২৮ আগস্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের মায়ের নিকট ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে।
তখন ভিকটিমের মা র্যাব-৪, সিপিসি-২,নবীনগর,সাভার, ঢাকা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তৎক্ষনাৎ র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করেন এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন মধুপুর ফারুকনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মো.মোরসালিন হোসেনকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়,গ্রেফতারকৃত আসামি মোরসালিনের দেওয়া তথ্যে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার মধুপুর ফারুকনগর এলাকার একটি ঝোপের ভিতর থেকে ভিকটিমের মাথার খুলি,হাড়সহ জুতা ও গেঞ্জি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোরসালিন হোসেন ভিকটিমকে গলায় গেঞ্জি পেচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।