১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খোকসা উপজেলার হিজলাবট দেবীনগর আজিজুর রহমান মা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

  • আপডেট: ০৩:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২৫

অনুসন্ধানী প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার হিজলাবট দেবীনগর আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে এলাকাবাসী মানববন্ধন করবেন বলে শোনাযায়। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মারুফ হোসেনের অনিয়মে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম না থাকলে উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি পেতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের কার্যক্রমে এর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা। আবেদন পত্র সূত্রে জানা গেছে প্রায় দশ সময় ধরে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মারুফ হোসেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। অভিযোগে উল্লেখিত অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারি ৪ পদের নিয়োগে ২৭ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য করেন। নিয়োগ ক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করলেও এখানে নেই কোন শহীদ মিনার। প্রদান করেন এবং ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের অনূকূলে প্রাপ্ত সরকারি প্রণোদনার সম্পূর্ণ টাকা প্রধান শিক্ষক কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখিতআর্থিকসহ সকল অনিয়মের অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে প্রতিবেদনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা যেতে পারে। রসিদ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও অন্যান্য ফি আদায় এবং ব্যাংকে নিয়ম অনুযায়ী জমা না দেয়া, পরিচালনা পরিষদের রেজুলেশন জালিয়াতি করে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা না রেখে নগদ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, প্রশংসাপত্র ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, বিশেষ ক্লাস বাবদ আদায়কৃত অর্থের অংশ জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে অনিয়ম ও ক্রয় উপকমিটি এড়িয়ে খরচের অভিযোগ, পুরাতন বই, পরীক্ষার খাতা, বেতন কার্ড ইত্যাদি বেআইনিভাবে বিক্রি করে ফান্ডে না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন না করা এবং হিসাব উপস্থাপনে স্বচ্ছতা না রাখা, নারী শিক্ষার্থী ও মহিলা অতিথিদের নিয়ে অশোভন মন্তব্যসহ নৈতিক স্খলনের অভিযোগ রয়েছে প্রশান শিক্ষক মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে। নাম গোপন রাখার সর্তে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী সোনালী খবর প্রতিনিধিকে জানান, প্রধান শিক্ষকের এসব কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষক-অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হুমকির মুখে পড়েছে। তারা দ্রুত এসব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এসময় অভিযোগকারিরা আরও বলেন, আমাদের অভিযোগগুলো করেছি, তা সম্পূর্ণ সত্য। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হলে সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে। একজন অফিস সহকারী একপ্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে আমার নির্ধারিত কাজ করতে দেন না। প্রশংসাপত্র বাবদ আদায়কৃত অর্থের আংশিক ব্যাংকে জমা দিলেও বাকি অর্থ বাকি অর্থ রাখতে বলেন, পরে স্যার সে টাকা নিয়ে যায়।বিশেষ সূত্রে জানাযায়, এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছেন, অভিযোগের আবেদন পেলে নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মোবাইলে ফোন করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েও এ ব্যাপারে হিজলাবট দেবীনগর আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মারুফ হোসেনের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সঠিক ভাবে তদন্ত করলে দূর্নীতিবাজ এই প্রধান শিক্ষকের সকল অনিয়ম বেরিয়ে আসবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

খোকসা উপজেলার হিজলাবট দেবীনগর আজিজুর রহমান মা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট: ০৩:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অনুসন্ধানী প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার হিজলাবট দেবীনগর আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে এলাকাবাসী মানববন্ধন করবেন বলে শোনাযায়। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মারুফ হোসেনের অনিয়মে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম না থাকলে উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি পেতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের কার্যক্রমে এর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা। আবেদন পত্র সূত্রে জানা গেছে প্রায় দশ সময় ধরে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মারুফ হোসেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। অভিযোগে উল্লেখিত অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারি ৪ পদের নিয়োগে ২৭ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য করেন। নিয়োগ ক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করলেও এখানে নেই কোন শহীদ মিনার। প্রদান করেন এবং ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের অনূকূলে প্রাপ্ত সরকারি প্রণোদনার সম্পূর্ণ টাকা প্রধান শিক্ষক কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখিতআর্থিকসহ সকল অনিয়মের অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে প্রতিবেদনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা যেতে পারে। রসিদ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও অন্যান্য ফি আদায় এবং ব্যাংকে নিয়ম অনুযায়ী জমা না দেয়া, পরিচালনা পরিষদের রেজুলেশন জালিয়াতি করে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা না রেখে নগদ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, প্রশংসাপত্র ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, বিশেষ ক্লাস বাবদ আদায়কৃত অর্থের অংশ জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে অনিয়ম ও ক্রয় উপকমিটি এড়িয়ে খরচের অভিযোগ, পুরাতন বই, পরীক্ষার খাতা, বেতন কার্ড ইত্যাদি বেআইনিভাবে বিক্রি করে ফান্ডে না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন না করা এবং হিসাব উপস্থাপনে স্বচ্ছতা না রাখা, নারী শিক্ষার্থী ও মহিলা অতিথিদের নিয়ে অশোভন মন্তব্যসহ নৈতিক স্খলনের অভিযোগ রয়েছে প্রশান শিক্ষক মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে। নাম গোপন রাখার সর্তে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী সোনালী খবর প্রতিনিধিকে জানান, প্রধান শিক্ষকের এসব কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষক-অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হুমকির মুখে পড়েছে। তারা দ্রুত এসব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এসময় অভিযোগকারিরা আরও বলেন, আমাদের অভিযোগগুলো করেছি, তা সম্পূর্ণ সত্য। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হলে সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে। একজন অফিস সহকারী একপ্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে আমার নির্ধারিত কাজ করতে দেন না। প্রশংসাপত্র বাবদ আদায়কৃত অর্থের আংশিক ব্যাংকে জমা দিলেও বাকি অর্থ বাকি অর্থ রাখতে বলেন, পরে স্যার সে টাকা নিয়ে যায়।বিশেষ সূত্রে জানাযায়, এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছেন, অভিযোগের আবেদন পেলে নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মোবাইলে ফোন করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েও এ ব্যাপারে হিজলাবট দেবীনগর আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মারুফ হোসেনের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সঠিক ভাবে তদন্ত করলে দূর্নীতিবাজ এই প্রধান শিক্ষকের সকল অনিয়ম বেরিয়ে আসবে।