২০ লাখে ইতালি নেওয়ার কথা বলে মিশরে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ৫

- আপডেট: ০৯:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৮০০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাজধানীর উত্তরা থেকে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের মূলহোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-২ এবং হাজারীবাগ থানার যৌথ অভিযানে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন— আব্দুল হাকিম (৫৬), মো. নূর ইসলাম (৩১), আসাদুজ্জামান (৩৫) এবং মো. শাহরিয়ার শেখ মুরাদ (৪২)। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ৯টি পাসপোর্ট,১০টি স্মার্টফোন, একটি বাটনফোন এবং এক কোটি ৫৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব বলছে, চক্রটি একজন ভুক্তভোগীকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মিশরে নিয়ে জিম্মি করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-২ এর সিনিইয়র সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মানবপাচারকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভিসা ও পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। মূলত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ ও বেকার যুবকদের টার্গেট করে ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করতো।
খান আসিফ তপু বলেন, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার ভুক্তভোগী জাহিদ হোসেনকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেন। পরে গত ১৩ জুলাই তাকে মদিনা হয়ে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে অজ্ঞাত আসামিরা জাহিদকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহিদ হোসেনের ভাই বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এই মানবপাচার চক্রটিকে দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিতে রাখে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই র্যাব ও পুলিশের এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই করে চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।