০১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি ডব়্প যুব ফোরামের

  • আপডেট: ০২:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে ডব়্প যুব ফোরাম। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে এবং আগামী প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এই দাবি জানিয়েছে তারা।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এ জাতীয় রাজস্ব ভবনের সামনে ডব়্প যুব ফোরাম আয়োজিত জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবিতে করার দাবিতে মানববন্ধন শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানায় তারা।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে সময়ক্ষেপণ না করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত পাশের বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আহবান জানিয়ে তামাক বিরোধী যুব প্রতিনিধিরা বলেন,বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ (প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন) মারা যায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তামাক ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে,যা জাতির ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। কাজেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের কোন বিকল্প নেই।

যুব প্রতিনিধিরা সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তামাক কোম্পানির সাথে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি-এর আর্টিকেল ৫.৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই ধারা অনুযায়ী কোনো দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ এফসিটিসি-তে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বাধ্য। অতএব তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন হতে হবে সম্পূর্ণ তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত।

মানববন্ধনে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্য রেখে,স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা,তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা,তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা,ই-সিগারেট এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ,তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,বিইউপি,ঢাকা কলেজ,গভঃ বাংলা কলেজ,খিলগাঁও মডেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক তামাক বিরোধী যুব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে ডব়্প যুব ফোরাম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর তাদের দাবিনামা সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি ডব়্প যুব ফোরামের

আপডেট: ০২:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে ডব়্প যুব ফোরাম। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে এবং আগামী প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এই দাবি জানিয়েছে তারা।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এ জাতীয় রাজস্ব ভবনের সামনে ডব়্প যুব ফোরাম আয়োজিত জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবিতে করার দাবিতে মানববন্ধন শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানায় তারা।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে সময়ক্ষেপণ না করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত পাশের বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আহবান জানিয়ে তামাক বিরোধী যুব প্রতিনিধিরা বলেন,বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ (প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন) মারা যায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তামাক ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে,যা জাতির ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। কাজেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের কোন বিকল্প নেই।

যুব প্রতিনিধিরা সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তামাক কোম্পানির সাথে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি-এর আর্টিকেল ৫.৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই ধারা অনুযায়ী কোনো দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ এফসিটিসি-তে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বাধ্য। অতএব তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন হতে হবে সম্পূর্ণ তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত।

মানববন্ধনে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্য রেখে,স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা,তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা,তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা,ই-সিগারেট এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ,তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,বিইউপি,ঢাকা কলেজ,গভঃ বাংলা কলেজ,খিলগাঁও মডেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক তামাক বিরোধী যুব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে ডব়্প যুব ফোরাম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর তাদের দাবিনামা সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।