১০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

টঙ্গীতে দগ্ধ ফায়ার ফাইটারদের চিকিৎসায় আসছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক

  • আপডেট: ১২:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

টঙ্গীর কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ফায়ার ফাইটারদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসছেন। তিনি আজ রাত ১০টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টারে নিহত ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের জানাজা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে এদিন বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই গুদামে দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ। গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তিনি শতভাগ দগ্ধ হন।

উপদেষ্টা বলেন, রাতে সিঙ্গাপুর থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসবেন। তিনি রাত ১০টার দিকে এসে পৌঁছাবেন। সিঙ্গাপুর চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা খুবই ভালো এবং চিকিৎসকরা পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেন।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের পরিবারকে ভালো অর্থায়ন করা হচ্ছে। শামীমের জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি কর্তব্যকালীন জীবন দিয়েছেন।

ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের জানাজায় আরও অংশ নেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং নিহতের পরিবার।

এর আগে, ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, সোমবার বিকেলে টঙ্গীতে রাসায়নিকের একটি গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে দুজন ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও নুরুল হুদার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের মৃত্যু হয়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আরও জানান, নিহত শামীম আহমেদ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সালের ১৬ আগস্ট তিনি ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার পদে যোগ দেন। তার বাড়ি নেত্রকোনায়। তিনি বিবাহিত এবং তার তিন সন্তান রয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, দগ্ধ চার ফায়ার ফাইটারের মধ্যে এখন তিনজন চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- ১০০ শতাংশ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা, ৪২ শতাংশ দগ্ধ অফিসার খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ও ৫ শতাংশ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার জয় হাসান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

টঙ্গীতে দগ্ধ ফায়ার ফাইটারদের চিকিৎসায় আসছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক

আপডেট: ১২:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

টঙ্গীর কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ফায়ার ফাইটারদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসছেন। তিনি আজ রাত ১০টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টারে নিহত ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের জানাজা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে এদিন বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই গুদামে দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ। গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তিনি শতভাগ দগ্ধ হন।

উপদেষ্টা বলেন, রাতে সিঙ্গাপুর থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসবেন। তিনি রাত ১০টার দিকে এসে পৌঁছাবেন। সিঙ্গাপুর চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা খুবই ভালো এবং চিকিৎসকরা পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেন।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের পরিবারকে ভালো অর্থায়ন করা হচ্ছে। শামীমের জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি কর্তব্যকালীন জীবন দিয়েছেন।

ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের জানাজায় আরও অংশ নেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং নিহতের পরিবার।

এর আগে, ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, সোমবার বিকেলে টঙ্গীতে রাসায়নিকের একটি গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে দুজন ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও নুরুল হুদার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের মৃত্যু হয়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আরও জানান, নিহত শামীম আহমেদ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সালের ১৬ আগস্ট তিনি ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার পদে যোগ দেন। তার বাড়ি নেত্রকোনায়। তিনি বিবাহিত এবং তার তিন সন্তান রয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, দগ্ধ চার ফায়ার ফাইটারের মধ্যে এখন তিনজন চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- ১০০ শতাংশ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা, ৪২ শতাংশ দগ্ধ অফিসার খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ও ৫ শতাংশ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার জয় হাসান।