দুর্নীতির চাপে ডুবছে ডেসকো, প্রকল্প পরিচালক সায়েদুর রহমানের অপ্রতিরোধ্য অনিয়ম, সম্পদের পাহাড়
- আপডেট: ০৯:২০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০১৭
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক:
দুনীতির চাপে ডুবছে ডেসকো। প্রকল্প পরিচালক সায়েদুর রহমানের অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতি, সম্পদের পাহাড়। দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্র্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) সংকটের মুখে পড়েছে। যেখানে একাধিক গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। অভিযোগ রয়েছে, ডেসকোতে সকল অপকর্মের মাষ্টারমাইন্ড মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান প্রকল্প পরিচালক, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ প্রধান কার্যালয়, খিলক্ষেত ঢাকায় কর্মরত আছেন। এমন কোন অপকর্ম নেই,যা তার পরিকল্পনায় ঘটেনা। ডেসকোর এই কর্মকতার বিরুদ্ধে মোবারক হোসেন নামের এক ব্যক্তি অন্তর্বতীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বরাবরে অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান প্রকল্প পরিচালক, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ প্রধান কার্যালয়, খিলক্ষেত ঢাকায় কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ডেসকোর হিসাব বিভাগের বিতর্কিত প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান প্রকল্প সকল কাজের কাজীখ্যাত তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই সকল অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। প্রকল্প পরিচালক হিসাবে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান তার স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনের নামে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় কাজ প্রদানের মাধানে কোটি কোটি টাকা নিজে আত্মসাত করেছেন। ডেসকোতে মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান প্রকল্প পরিচালক হিসাবে নিয়োগের কোন প্রকার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অবৈধ উপায়ে টাকার বিনিময়ে তিনি কোম্পানীতে চাকুরী পান। অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায় মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান প্রকল্প পরিচালক, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ প্রধান কার্যালয়, খিলক্ষেত ঢাকায় কর্মরত আছেন। তিনি ঘুষ দুর্নীতি, তদবির বানিজ্য করে অবৈধ ভাবে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে নিজে ও তার স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা দেশে ও বিদেশে টাকা পাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ, উত্তর জগদিসপুর এলাকার বাসিন্দা সামছউদ্দিন তালুকদার ও কুলসুমা খানম দম্পতির সন্তান। মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান ১৯৭৪ সালের ৩১ জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৯৩৯৬৭৫৩৮৩ এবং টিআইন এন নং-১৬২৪৫১২৭৫০৬৮, কর সার্কেল-২৭৫, কর অঞ্চল-১৩, ঢাকা। মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান বর্তমান ঢাকার মিরপুর পশ্চিম মনিপুরের ২৬০ নম্বর বাসায় বসবাস করছেন। মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান স্ত্রীর শায়লা জান্নাত পেশায়গৃহিনী, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৪৫৬৩৮৪৫৩৪। এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা বেগম দম্পতির কন্যা শায়লা জান্নাত ১৯৮৩ সালের ৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার টিআইএন নং-২৪০৪৫৯২৫৮৬১৭, কর সার্কেল-৩০১, কর অঞ্চল-১৪, ঢাকা। শায়লা জান্নাত গৃহিনী হয়েও পূর্বের টিআইএন নং-০৮২১১৭১৭০৪, তিনি উক্ত টিআইএনটিকে গত ২৪/১১/২০১৩ইং সালে ইটি হিসাবে আপডেট করেন। ৯৭৩ পূর্ব শেওয়াড়া পাড়া, কাফরুল মিরপুর, ঢাকার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। শায়লা জান্নাত একজন গৃহিনী হওয়া সত্বেও তিনি একটি বিলাশ বহুল গাড়ী ব্যবহার করেন। যার নং ঢাকা মেট্রো-গ-২৭-৫৯৩৩। এছাড়াও তার নামে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ী, গাড়ী, রয়েছে। সায়েদুর রহমান, ডেসকোর ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে তার গৃহিনী স্ত্রীর নামে কোটি কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে সায়েদুর বেনামে কোটিকোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দেশে পরিবারের আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে শায়লা জান্নাত এর নামে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। (২) বাসা-২৬০, পশ্চিম মনিপুর, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ বাড়িতে শায়েলা জান্নাত ও সায়েদুর রহমানের নামে কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। শায়েলা জান্নাত এর নামে বসুন্ধারা আবাসিক এলাকায় বি ও সি ব্লকে একাধিক ফ্ল্যাট বাড়ী রয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাত সায়দুর রহমান কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন, যা তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে দুদকে চলমান মামলা গিলে খেয়েছে সায়েদুর। জানাজায় এই কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দুদককে ম্যানেজ করেছেন। সায়েদুর রহমান বর্তমানে নিজেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এর একান্ত আপন কাছের লোক বলে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছেন। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তিনি নিজেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবাইদুল হাসান শাহিন ও সাবেক এমপি রেবেকা মমিনের আত্মীয় পরিচয়ে ডেসকোতে শত শত কোটি লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে। এখন নিজেকে বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপের বড় নেতা পরিচয় দিচ্ছেন সায়েদুর রহমান। ফ্যাসিস্টি সরকারের পলাতক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠ জন হিসাবে দীর্ঘ সময় ডেসকোতে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে ফেলেছেন সায়েদুর রহমান চক্র। সায়েদুর রহমান দোসর হিসাবে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাথে মিলেমিশে আস্থাশীল হয়ে কাজ করেছেন একদিকে, অন্যদিকে প্রচুর অর্থ নিজের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন। নতুন করে আবার পরিচয় বহন করছেন। সায়েদুরের বিরুদ্ধে ডেসকোর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তিনি সব সময়ে সুবিধাভোগি চক্রের হয়ে কাজ করেন। নিজের স্বার্থে তিনি সব করতে পারেন। এই বিষয়ে জানার জন্য সায়েদুরের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবার কারণে যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি। প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও আস্থা রক্ষায় কর্তৃপক্ষ জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এমনটি প্রতিবেদনের প্রত্যাশা।




















