পুলিশ একাডেমি থেকে লাপাত্তা ডিআইজি এহসানুল্লাহ! জানা গেল কারণ
 
																
								
							
                                - আপডেট: ০৬:১৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা থেকে রহস্যজনকভাবে লাপাত্তা হয়েছেন সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি এহসানুল্লাহ। বুধবার সকাল থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় সারদা একাডেমিসহ রাজশাহী জুড়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও তদন্ত সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে।
যেভাবে লাপাত্তা হলেন এহসানুল্লাহ
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার সকালে এহসানুল্লাহকে আটক করতে পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায় একটি বিশেষ দল। অভিযানের সময় তিনি হঠাৎ রহস্যজনকভাবে একাডেমি থেকে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিআইজি এহসানুল্লাহ আগেই জানতে পারেন যে, তাকে গ্রেফতারের জন্য একটি টিম আসছে। খবর পাওয়ার পরপরই তিনি একাডেমি থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম বলেন, ডিআইজি এহসানুল্লাহ বুধবার থেকে একাডেমিতে অনুপস্থিত। ঢাকা থেকে একটি টিম তাকে আটক করতে এসেছিল বলে জানতে পেরেছি। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপালকে কয়েক দফা ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়, আইসিটির প্রতিনিধিরা জেলা পুলিশের সহায়তায় বুধবার ভোর ৬টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। কিন্তু কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের পরিচয় জানা ও যোগাযোগের সুযোগ না দেওয়ায় ডিআইজি এহসানুল্লাহ খবর পেয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি দিনভর রাজশাহীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
এদিকে, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা ও পুলিশ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবতারবিরোধী অপরাধে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে।
সিআইডি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আইসিটির একটি প্রতিনিধির দল সিআইডি ঢাকা মেট্রো অফিস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে পুলিশের আরেকটি দল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় উত্তরা গণহত্যায় জড়িত উত্তরা ডিভিশনের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক এডিসি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়া ডিআইজি এহসানুল্লাহর বিষয়ে ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর ও আইসিটির উচ্চপর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার গতিবিধি ও সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্তে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এহসানুল্লাহর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তার অবস্থান শনাক্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বরিশালের সাবেক পুলিশ সুপার এহসানুল্লাহ অতীতে র্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত চলছিল। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সাপ্লাই বিভাগে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন।

 
																			 
																		



















