১১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

এলজিইডি’র সহ-প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়

  • আপডেট: ০৯:০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৩

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আগারগাঁও ময়মনসিংহ প্রকল্পে কর্মরত সহকারি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। ্বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে আছে কোটি কোটি টাকা। মোঃ শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী, আগারগাঁও ময়মনসিংহ প্রকেল্প কর্মরত আছেন। তার পিতার নাম রুহুল আমিন, মাতা সাবেরা, স্ত্রীর নাম মর্জিনা খাড় তার বর্তমান বাসা নং-জান্নাত বাগিচা, বাসা নং-২১৯/১৫/১, দক্ষিণ পিরের বাগ, ওসমানগনি রোড, ৬০ ফিট ভাঙ্গা ব্র মিরপুর, ঢাকা। তার স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম-বাঘোপাড়া, ডাকঘর-বকুল, উপজেলা-বগুড়া সদর, জেলা-বগুড়া। সরজমিনে জানাযায়, এলজিইডি আগারগাঁও ময়মনসিংহ প্রকল্পে কর্মরত সহকারি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ চাকরির স্ববাদে সেবার নামে অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সহায় সম্পদের পাহাড়। ১৯৭৬ সালের ২২ অক্টোবর শফিকুল ইসলাম বগুড়া জেলার সদর থানার বকুল, বাঘোপাড়া এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। সে বাঘোপাড়া এলাকার রুহুল আমিন ও সাবেরা দম্পতির সন্তান। সংসারে অভাব ঘোচাতে একদিন শফিকুল এলজিএইডিতে চাকুরিনেন। চাকরি পাওয়ার পর থেকে টাকার নেশায় বেপরোয়া হয়ে উঠে শফিকুল। স্থানীয় সরকার প্রকৌশীতে গড়ে তোলেন একটি শক্তিশালী সুবিধাভোগি চক্র। বেপরোভাবে কামিয়েছেন কোটিকোটি টাকা। শফিকুলের জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৯৭৬২৬৯৮৮৭৮৪১০৫৭৩। তার টিন নং-১৬৯৮৩১২৩০৪৯০, সার্কেল-৮৫, কর অঞ্চল-০৪, ঢাকা। স্বল্প সময়ে অবিশ্বাস্য সম্পদের পাড়ার গড়েছেন শফিকুল ইসলাম। অবৈধ ভাবে প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করে অল্পদিনে অর্ধকোটি টাকা দিয়ে একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট কার ক্রয় করেছেন,যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ ২৬- ৬৭৪২। এলজিইডির বিভিন্ন কাজে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে রাজধানী মিরপুর বাসা নং-২১৯/১৫/১, দক্ষিণ পীরের বাগ ওসমানগনি রোড, ৬০ ফিট ভাঙ্গা ব্রীজ সংলগ্ন বাড়ির ৩য় তলায় কোটি টাকায় একটি আলিশান ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। মোহাম্মদিয়া হাউজিং, মোহাম্মদপুর, ঢাকার এই বাসার ৪র্থ তলা দেড় কোটি টাকায় একটি ২৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। প্রায় ৫কোটি ব্যয় করে ঢাকার অভিজাত এলাকা যমুনা সিটির এলাকায় নির্মান করেছেন বাড়ি। গাজীপুর কাশেমপুর কারাগারের বিপরীত পাশে তিনি একটি প্লট ক্রয় করেছন ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে। এলজিইডির সহপ্রকৌশলী শফিকুল ঢাকার উত্তরায় প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়ে পিয়াংকা সিটি উত্তরায় ঢাকায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছেন প্লট। নিজ নামে নামে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে তুরাগ সিটি, সাভার, ঢাকায় বাসা মির্মান করেছেন। আশুলিয়া অনিক প্লাজার পাশে ৫ম তলা ভবন নিমার্ণ করে গড়েছেন আলিশান বাড়ি। বগুড়া জেলা শহরে তিনি একটি ৭ম তলা আলিশান বাড়ি নিমার্ণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও জমি ক্রয় করেছেন ৩ কোটি টাকা দিয়ে কিন্তু তিনি তার দেখিয়েছেন যত সামান্য টাকা। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তার পরিবারের বিষয়টি তদন্ত করলে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও পাওয়া যাবে। সহ প্রকৌশলী শফিকুলের স্ত্রী মর্জিনা। মর্জিনার নামে রয়েছে অঢেল সম্পদ। শফিকুই ইসলামের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আরও অনেক অজানা তথ্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এলজিইডি’র সহ-প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়

আপডেট: ০৯:০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আগারগাঁও ময়মনসিংহ প্রকল্পে কর্মরত সহকারি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। ্বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে আছে কোটি কোটি টাকা। মোঃ শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী, আগারগাঁও ময়মনসিংহ প্রকেল্প কর্মরত আছেন। তার পিতার নাম রুহুল আমিন, মাতা সাবেরা, স্ত্রীর নাম মর্জিনা খাড় তার বর্তমান বাসা নং-জান্নাত বাগিচা, বাসা নং-২১৯/১৫/১, দক্ষিণ পিরের বাগ, ওসমানগনি রোড, ৬০ ফিট ভাঙ্গা ব্র মিরপুর, ঢাকা। তার স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম-বাঘোপাড়া, ডাকঘর-বকুল, উপজেলা-বগুড়া সদর, জেলা-বগুড়া। সরজমিনে জানাযায়, এলজিইডি আগারগাঁও ময়মনসিংহ প্রকল্পে কর্মরত সহকারি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ চাকরির স্ববাদে সেবার নামে অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সহায় সম্পদের পাহাড়। ১৯৭৬ সালের ২২ অক্টোবর শফিকুল ইসলাম বগুড়া জেলার সদর থানার বকুল, বাঘোপাড়া এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। সে বাঘোপাড়া এলাকার রুহুল আমিন ও সাবেরা দম্পতির সন্তান। সংসারে অভাব ঘোচাতে একদিন শফিকুল এলজিএইডিতে চাকুরিনেন। চাকরি পাওয়ার পর থেকে টাকার নেশায় বেপরোয়া হয়ে উঠে শফিকুল। স্থানীয় সরকার প্রকৌশীতে গড়ে তোলেন একটি শক্তিশালী সুবিধাভোগি চক্র। বেপরোভাবে কামিয়েছেন কোটিকোটি টাকা। শফিকুলের জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৯৭৬২৬৯৮৮৭৮৪১০৫৭৩। তার টিন নং-১৬৯৮৩১২৩০৪৯০, সার্কেল-৮৫, কর অঞ্চল-০৪, ঢাকা। স্বল্প সময়ে অবিশ্বাস্য সম্পদের পাড়ার গড়েছেন শফিকুল ইসলাম। অবৈধ ভাবে প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করে অল্পদিনে অর্ধকোটি টাকা দিয়ে একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট কার ক্রয় করেছেন,যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ ২৬- ৬৭৪২। এলজিইডির বিভিন্ন কাজে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে রাজধানী মিরপুর বাসা নং-২১৯/১৫/১, দক্ষিণ পীরের বাগ ওসমানগনি রোড, ৬০ ফিট ভাঙ্গা ব্রীজ সংলগ্ন বাড়ির ৩য় তলায় কোটি টাকায় একটি আলিশান ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। মোহাম্মদিয়া হাউজিং, মোহাম্মদপুর, ঢাকার এই বাসার ৪র্থ তলা দেড় কোটি টাকায় একটি ২৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। প্রায় ৫কোটি ব্যয় করে ঢাকার অভিজাত এলাকা যমুনা সিটির এলাকায় নির্মান করেছেন বাড়ি। গাজীপুর কাশেমপুর কারাগারের বিপরীত পাশে তিনি একটি প্লট ক্রয় করেছন ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে। এলজিইডির সহপ্রকৌশলী শফিকুল ঢাকার উত্তরায় প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়ে পিয়াংকা সিটি উত্তরায় ঢাকায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছেন প্লট। নিজ নামে নামে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে তুরাগ সিটি, সাভার, ঢাকায় বাসা মির্মান করেছেন। আশুলিয়া অনিক প্লাজার পাশে ৫ম তলা ভবন নিমার্ণ করে গড়েছেন আলিশান বাড়ি। বগুড়া জেলা শহরে তিনি একটি ৭ম তলা আলিশান বাড়ি নিমার্ণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও জমি ক্রয় করেছেন ৩ কোটি টাকা দিয়ে কিন্তু তিনি তার দেখিয়েছেন যত সামান্য টাকা। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তার পরিবারের বিষয়টি তদন্ত করলে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও পাওয়া যাবে। সহ প্রকৌশলী শফিকুলের স্ত্রী মর্জিনা। মর্জিনার নামে রয়েছে অঢেল সম্পদ। শফিকুই ইসলামের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আরও অনেক অজানা তথ্য।