রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের আয়োজনে সম্প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
- আপডেট: ০৯:২৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮০০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি,পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অনুপ্রেরণায় রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের আয়োজনে আজ রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে সম্প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৫-এর উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.আহসান হাবীব পলাশ,(অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার ড.এস.এম.ফরহাদ হোসেন।
ডিআইজি মো.আহসান হাবীব পলাশ স্টেডিয়ামে পৌঁছালে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র যুগ্ম-কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) ফরিদা ইয়াসমিন,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী নুসরাত এদীব লুনা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরিৎ কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য বরুণ বিকাশ দেওয়ান এবং জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা জনাব হারুন-অর-রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ বলেন,খেলাধুলা কেবল বিনোদন নয়,এটি সমাজে শৃঙ্খলা, ন্যায়বোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলে। রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে—পুলিশ জনগণের বন্ধু, অংশীদার ও শান্তির অগ্রদূত। পাহাড়ে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার ড.ফরহাদ হোসেন বলেন,রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সর্বদা শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে—আমাদের লক্ষ্য সেই সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা। খেলাধুলা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সবাই সমানভাবে অংশ নিতে পারে, যা সমাজে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করে।
দিনের আকর্ষণীয় খেলায় রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় মুখোমুখি হয়। নির্ধারিত সময় শেষে খেলা ০-০ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় ৪-২ গোলে জয়লাভ করে।
খেলা শেষে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


















