শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ ৫ জন গ্রেফতার
- আপডেট: ১০:২৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮০০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
নিহত মামুনের সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়,মামুনের শরীরে মোট সাতটি গুলির চিহ্ন ছিল—মাথার নিচে একটি,বাম পিঠে একটি,বুকের ডান পাশে একটি,বাম কব্জিতে একটি এবং ডান কব্জির ওপরে একটি গুলি লাগে।
পুলিশ জানায়,নিহত তারিক সাইফ মামুন রাজধানীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি ‘ইমন-মামুন গ্রুপের’ অন্যতম প্রধান ছিলেন। একসময় তিনি কুখ্যাত সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইমন ও মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আলোচনায় উঠে আসে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের নাম। ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদপুর জোসেফের ভাই টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি ছিলেন নিহত মামুন। সেই ক্ষোভ থেকে জোসেফের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন,রাজধানীর সূত্রাপুরে চাঞ্চল্যকর মামুন হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি পিস্তল উদ্ধার এবং দুই শুটারসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফটকের সামনে মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার পথে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়,সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে মামুন দৌড়ে হাসপাতালের ফটকের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন,পেছন থেকে দুই অস্ত্রধারী তার দিকে গুলি ছুড়ছে। মুহূর্তের মধ্যে দুজন খুব কাছ থেকে একযোগে একাধিক গুলি ছোড়ে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হত্যা মিশন শেষ করে তারা কোমরে অস্ত্র গুঁজে দ্রুত গেটের বাঁ দিকে পালিয়ে যায়।
পরে আহত অবস্থায় মামুনকে দ্রুত ন্যাশনাল মেডিক্যালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মামুনের সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, মামুনের শরীরে মোট সাতটি গুলির চিহ্ন ছিল—মাথার নিচে একটি,বাম পিঠে একটি, বুকের ডান পাশে একটি,বাম কব্জিতে একটি এবং ডান কব্জির ওপরে একটি গুলি লাগে।
পুলিশ জানায়,নিহত তারিক সাইফ মামুন রাজধানীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি ‘ইমন-মামুন গ্রুপের’ অন্যতম প্রধান ছিলেন। একসময় তিনি কুখ্যাত সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইমন ও মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আলোচনায় উঠে আসে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের নাম। ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদপুর জোসেফের ভাই টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি ছিলেন নিহত মামুন। সেই ক্ষোভ থেকে জোসেফের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের।




















