০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে ঘাতক ইমরান গ্রেফতার

  • আপডেট: ০৯:২০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০১৫

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান নিহতের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। একইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মো.ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিবার(৭ ডিসেম্বর) বিকালে টঙ্গীর মাজার বস্তি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল আশিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়,নিহত সিদ্দিকুর রহমান পেশায় বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোর কিপার ছিলেন। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানার মধুমিতা রোডে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। শনিবার ভোরে কর্মস্থল কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলে সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে টঙ্গীর বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ফ্লাইওভারের ওপর পৌঁছালে অভিযুক্ত ইমরান তার পথরোধ করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ইমরান সিদ্দিকুরের বাম হাতে ধারালো ছুরি দিয়ে তিনটি আঘাত করে। গুরুতর রক্তক্ষরণে তিনি সিঁড়ির কাছে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

র‍্যাব জানায়,ছিনতাইয়ের পর পালানোর সময় সিদ্দিকুরের রক্ত ইমরানের জুতায় লেগে যায়। তড়িঘড়ি করে নামতে গিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা জুতা সিঁড়িতে ফেলে দিয়ে ইমরান কোনাবাড়ী এলাকায় যায় এবং পরে আবার মাজার বস্তিতে ফিরে গিয়ে আত্মগোপন করে। ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনটি মাত্র ১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় সে।

ঘটনার পর র‌্যাব-১ এর সিপিসি-২,উত্তরা ক্যাম্পের একটি টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ করে তারা ইমরানকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে রবিবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ইমরান একজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে র‌্যাব জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে ঘাতক ইমরান গ্রেফতার

আপডেট: ০৯:২০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান নিহতের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। একইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মো.ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিবার(৭ ডিসেম্বর) বিকালে টঙ্গীর মাজার বস্তি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল আশিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়,নিহত সিদ্দিকুর রহমান পেশায় বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোর কিপার ছিলেন। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানার মধুমিতা রোডে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। শনিবার ভোরে কর্মস্থল কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলে সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে টঙ্গীর বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ফ্লাইওভারের ওপর পৌঁছালে অভিযুক্ত ইমরান তার পথরোধ করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ইমরান সিদ্দিকুরের বাম হাতে ধারালো ছুরি দিয়ে তিনটি আঘাত করে। গুরুতর রক্তক্ষরণে তিনি সিঁড়ির কাছে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

র‍্যাব জানায়,ছিনতাইয়ের পর পালানোর সময় সিদ্দিকুরের রক্ত ইমরানের জুতায় লেগে যায়। তড়িঘড়ি করে নামতে গিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা জুতা সিঁড়িতে ফেলে দিয়ে ইমরান কোনাবাড়ী এলাকায় যায় এবং পরে আবার মাজার বস্তিতে ফিরে গিয়ে আত্মগোপন করে। ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনটি মাত্র ১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় সে।

ঘটনার পর র‌্যাব-১ এর সিপিসি-২,উত্তরা ক্যাম্পের একটি টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ করে তারা ইমরানকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে রবিবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ইমরান একজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে র‌্যাব জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে