০৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের চেষ্টা, ধাওয়া দিয়ে ধরলো নৌবাহিনীর জাহাজ

  • আপডেট: ০৯:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০১

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের সময় এক হাজার ৭৫০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট ও ৩২টি মোবাইল জব্দ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২৩ জন সদস্যকেও আটক করা হয়।

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সন্দেহজনক দুটি কাঠের নৌকা ‘এফবি আজিজুল হক’ ও ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামক দুটি নৌকা থেকে এসব জব্দ করা হয়।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সমুদ্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নৌবাহিনী নিয়মিত টহল পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে টহল চলাকালে কুতুবদিয়া বহিঃনোঙর এলাকা থেকে অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারকালে দুটি ইঞ্জিন চালিত বোটসহ এক হাজার ৭৫০ বস্তা সিমেন্ট উদ্ধার এবং ২৩ জন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।

একটি পাচারকারী চক্র ইঞ্জিনচালিত বোটের মাধ্যমে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় টহল জোরদার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ সময় টহল কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ মহিবুল্লাহ কুতুবদিয়া বাতিঘর থেকে ৪৬ মাইল অদূরে সন্দেহজনক দুটি কাঠের নৌকা দেখতে পায়। নৌবাহিনী জাহাজ নৌকা দুটি তল্লাশির লক্ষ্যে থামার সংকেত দিলে তারা পালানোর চেষ্টা করে।

চোরাকারবারি দলের ২৩ জন সদস্যকে আটক করেছে নৌবাহিনী। ছবি: আইএসপিআর

নৌবাহিনী জাহাজ মহিবুল্লাহ ধাওয়া করে ‘এফবি আজিজুল হক’ এবং ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামক দুইটি নৌকা আটক করে। আটক নৌকাগুলো তল্লাশি করে এক হাজার ৭৫০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট ও ৩২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২৩ জন সদস্যকেও আটক করা হয়।

আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, অধিক মুনাফা লাভের আশায় সিমেন্টগুলো মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল ও আটকৃত ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস, মাদক চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে নৌবাহিনীর অভিযান ও টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের চেষ্টা, ধাওয়া দিয়ে ধরলো নৌবাহিনীর জাহাজ

আপডেট: ০৯:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের সময় এক হাজার ৭৫০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট ও ৩২টি মোবাইল জব্দ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২৩ জন সদস্যকেও আটক করা হয়।

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সন্দেহজনক দুটি কাঠের নৌকা ‘এফবি আজিজুল হক’ ও ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামক দুটি নৌকা থেকে এসব জব্দ করা হয়।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সমুদ্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নৌবাহিনী নিয়মিত টহল পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে টহল চলাকালে কুতুবদিয়া বহিঃনোঙর এলাকা থেকে অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারকালে দুটি ইঞ্জিন চালিত বোটসহ এক হাজার ৭৫০ বস্তা সিমেন্ট উদ্ধার এবং ২৩ জন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।

একটি পাচারকারী চক্র ইঞ্জিনচালিত বোটের মাধ্যমে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় টহল জোরদার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ সময় টহল কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ মহিবুল্লাহ কুতুবদিয়া বাতিঘর থেকে ৪৬ মাইল অদূরে সন্দেহজনক দুটি কাঠের নৌকা দেখতে পায়। নৌবাহিনী জাহাজ নৌকা দুটি তল্লাশির লক্ষ্যে থামার সংকেত দিলে তারা পালানোর চেষ্টা করে।

চোরাকারবারি দলের ২৩ জন সদস্যকে আটক করেছে নৌবাহিনী। ছবি: আইএসপিআর

নৌবাহিনী জাহাজ মহিবুল্লাহ ধাওয়া করে ‘এফবি আজিজুল হক’ এবং ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামক দুইটি নৌকা আটক করে। আটক নৌকাগুলো তল্লাশি করে এক হাজার ৭৫০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট ও ৩২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২৩ জন সদস্যকেও আটক করা হয়।

আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, অধিক মুনাফা লাভের আশায় সিমেন্টগুলো মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল ও আটকৃত ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস, মাদক চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে নৌবাহিনীর অভিযান ও টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।