১০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

নৌ পুলিশের অভিযান: লুণ্ঠিত ৬৩৪০ বস্তা সারসহ বাল্কহেড জব্দ, গ্রেফতার ২

  • আপডেট: ০৯:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদী থেকে ছিনতাই হওয়া ৬ হাজার ৩৪০ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার এবং সার বহনকারী বাল্কহেড জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় মূলহোতা আলমগীর ও আব্দুর রহিম নামে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে এমভি হাসান নামের একটি বাল্কহেডে ৬ হাজার ৩৪০ বস্তা ডিএপি সার বোঝাই করে সিলেটের সুনামগঞ্জের বিএডিসি গুদামের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রতি বস্তা সারের বাজারমূল্য ১ হাজার ৪৫০ টাকা। বাল্কহেডে ৯১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার সার ছিল। বাল্কহেডটিতে সার ডিলারের একজন প্রতিনিধি এবং কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। সেদিন সন্ধ্যায় সারবোঝাই বাল্কহেডটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মানিকনগর ঘাটে নোঙর করে। ইঞ্জিনের ত্রুটি কথা বলে বাল্কহেডটি পরদিন বৃহস্পতিবার একই ঘাটে অবস্থান করে। গত শুক্রবার ভোরে সারবোঝাই বাল্কহেড পুনরায় চলা শুরু করে।

মেঘনা নদীতে ঘণ্টাখানেক চলার পর একটি ট্রলার থেকে দুজন দুর্বৃত্ত এসে বাল্কহেডটিতে ওঠে। এরপর দুর্বৃত্তরাসহ বাল্কহেডের লোকজন ডিলারের প্রতিনিধিকে হাত-মুখ বেঁধে ট্রলারে উঠিয়ে দেয়। পরে সার বহনকারী বাল্কহেডটি ছিনিয়ে নিয়ে তারা চলে যায়। ডিলারের প্রতিনিধিকে নিয়ে ট্রলারটি নদীতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বিকেল নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আব্দুল্লাহর চর নামক স্থানে পৌঁছে। সেখানে মারধর করে সার ডিলারের প্রতিনিধিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে বাল্কহেডের সব কর্মচারীর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে নৌ পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। প্রযুক্তির সহায়তায় তারা নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও বাজারসংলগ্ন তিতাস নদীর শাখা দেওজুড়ী খালে সারবোঝাই বাল্কহেডটি শনাক্ত করা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে সারসহ বাল্কহেডটি আটক করা হয়। দুই থেকে তিনটি ট্রলি গাড়িতে করে কিছু সার নামানো হয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় বাজার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী তীরবর্তী গ্রামের এক বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত প্রায় সকল বস্তা সার উদ্ধার করা হয়।

নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিরবচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনায় লুণ্ঠন হওয়া প্রায় কোটি টাকার সার উদ্ধার ও এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেফতার আলমগীরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ৭টি এবং রহিমের বিরুদ্ধে মারামারি এবং নারী ও শিশু আইনে ২টি মামলা রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

নৌ পুলিশের অভিযান: লুণ্ঠিত ৬৩৪০ বস্তা সারসহ বাল্কহেড জব্দ, গ্রেফতার ২

আপডেট: ০৯:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদী থেকে ছিনতাই হওয়া ৬ হাজার ৩৪০ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার এবং সার বহনকারী বাল্কহেড জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় মূলহোতা আলমগীর ও আব্দুর রহিম নামে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে এমভি হাসান নামের একটি বাল্কহেডে ৬ হাজার ৩৪০ বস্তা ডিএপি সার বোঝাই করে সিলেটের সুনামগঞ্জের বিএডিসি গুদামের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রতি বস্তা সারের বাজারমূল্য ১ হাজার ৪৫০ টাকা। বাল্কহেডে ৯১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার সার ছিল। বাল্কহেডটিতে সার ডিলারের একজন প্রতিনিধি এবং কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। সেদিন সন্ধ্যায় সারবোঝাই বাল্কহেডটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মানিকনগর ঘাটে নোঙর করে। ইঞ্জিনের ত্রুটি কথা বলে বাল্কহেডটি পরদিন বৃহস্পতিবার একই ঘাটে অবস্থান করে। গত শুক্রবার ভোরে সারবোঝাই বাল্কহেড পুনরায় চলা শুরু করে।

মেঘনা নদীতে ঘণ্টাখানেক চলার পর একটি ট্রলার থেকে দুজন দুর্বৃত্ত এসে বাল্কহেডটিতে ওঠে। এরপর দুর্বৃত্তরাসহ বাল্কহেডের লোকজন ডিলারের প্রতিনিধিকে হাত-মুখ বেঁধে ট্রলারে উঠিয়ে দেয়। পরে সার বহনকারী বাল্কহেডটি ছিনিয়ে নিয়ে তারা চলে যায়। ডিলারের প্রতিনিধিকে নিয়ে ট্রলারটি নদীতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বিকেল নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আব্দুল্লাহর চর নামক স্থানে পৌঁছে। সেখানে মারধর করে সার ডিলারের প্রতিনিধিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে বাল্কহেডের সব কর্মচারীর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে নৌ পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। প্রযুক্তির সহায়তায় তারা নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও বাজারসংলগ্ন তিতাস নদীর শাখা দেওজুড়ী খালে সারবোঝাই বাল্কহেডটি শনাক্ত করা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে সারসহ বাল্কহেডটি আটক করা হয়। দুই থেকে তিনটি ট্রলি গাড়িতে করে কিছু সার নামানো হয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় বাজার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী তীরবর্তী গ্রামের এক বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত প্রায় সকল বস্তা সার উদ্ধার করা হয়।

নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিরবচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনায় লুণ্ঠন হওয়া প্রায় কোটি টাকার সার উদ্ধার ও এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেফতার আলমগীরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ৭টি এবং রহিমের বিরুদ্ধে মারামারি এবং নারী ও শিশু আইনে ২টি মামলা রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।