১০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

আলপনা টেইলার্সের আড়ালে ভয়ংকর দেহ ব্যবসা চক্র, বাবুর বিলাসবহুল সাম্রাজ্য উন্মোচন

  • আপডেট: ০৭:৫২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৪

মোঃ মনিরুজ্জামান মনির:
রাজধানীর শাহজাহানপুর মোড়সংলগ্ন নন্দীপাড়া ভূমি অফিসের সামনে অবস্থিত “আলপনা টেইলার্স” নামেই টেইলার্স, আসলে এটি এক ভয়ংকর দেহ ব্যবসা চক্রের গোপন কেন্দ্র। বহুদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাবু নামের এক ব্যক্তি এই টেইলার্সের আড়ালে অভিনব কৌশলে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। বাইরে থেকে এটি সাধারণ সেলাইয়ের দোকান মনে হলেও, এর ভেতরে চলে এক অন্ধকার ব্যবসার লেনদেন, যেখানে অর্থের বিনিময়ে নারীর মর্যাদা বিকিয়ে দেওয়া হয় নির্দ্বিধায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর বনশ্রী, শাহজাহানপুর ও রামপুরার অভিজাত এলাকাগুলোতে বাবুর রয়েছে একাধিক ভাড়া বাসা—যেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে মিনি পতিতালয় হিসেবে। উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণীদের টার্গেট করে বাবু নানা প্রলোভনে এই ব্যবসায় টেনে আনে। কখনো মডেলিংয়ের প্রতিশ্রুতি, কখনো চাকরির সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের ফাঁদে ফেলে তিনি তৈরি করেন যৌনপল্লীর এক অদৃশ্য নেটওয়ার্ক। এই তরুণীদের দিয়েই পরিচালিত হয় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তার গোপন দেহ ব্যবসা।
অভিযোগ রয়েছে, কাস্টমারদের মোবাইল ফোনে ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাবুর গোপন আস্তানায়। সেখানে গোপনে ধারণ করা হয় আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি, পরে সেইসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। বহু ভুক্তভোগী লজ্জা ও ভয় পেয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাননি। বাবুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলো পরীক্ষা করলে এই ভয়ংকর সত্যের অনেক প্রমাণ মিলবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আরও জানা গেছে, অবৈধ দেহ ব্যবসা ও ব্ল্যাকমেইলের টাকা দিয়ে বাবু গড়ে তুলেছেন এক বিলাসবহুল জীবনযাত্রা। রাজারবাগ মৌজার বৌদ্ধ মন্দির এলাকার মায়াকাননে রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট। সেখানে যাতায়াত করেন শহরের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি, যাদের সহযোগিতায় বাবু দীর্ঘদিন ধরে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে এই টেইলার্সের অস্বাভাবিক কার্যক্রম লক্ষ্য করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। “আলপনা টেইলার্স” এখন এলাকাবাসীর আতঙ্কের নাম—যেখানে সেলাইয়ের কাঁচির শব্দ নয়, শোনা যায় মানবতার চিৎকার। রাজধানীর এই অন্ধকার দেহ ব্যবসা চক্রের মূল হোতা বাবু ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি উঠেছে সর্বস্তরে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আলপনা টেইলার্সের আড়ালে ভয়ংকর দেহ ব্যবসা চক্র, বাবুর বিলাসবহুল সাম্রাজ্য উন্মোচন

আপডেট: ০৭:৫২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

মোঃ মনিরুজ্জামান মনির:
রাজধানীর শাহজাহানপুর মোড়সংলগ্ন নন্দীপাড়া ভূমি অফিসের সামনে অবস্থিত “আলপনা টেইলার্স” নামেই টেইলার্স, আসলে এটি এক ভয়ংকর দেহ ব্যবসা চক্রের গোপন কেন্দ্র। বহুদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাবু নামের এক ব্যক্তি এই টেইলার্সের আড়ালে অভিনব কৌশলে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। বাইরে থেকে এটি সাধারণ সেলাইয়ের দোকান মনে হলেও, এর ভেতরে চলে এক অন্ধকার ব্যবসার লেনদেন, যেখানে অর্থের বিনিময়ে নারীর মর্যাদা বিকিয়ে দেওয়া হয় নির্দ্বিধায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর বনশ্রী, শাহজাহানপুর ও রামপুরার অভিজাত এলাকাগুলোতে বাবুর রয়েছে একাধিক ভাড়া বাসা—যেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে মিনি পতিতালয় হিসেবে। উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণীদের টার্গেট করে বাবু নানা প্রলোভনে এই ব্যবসায় টেনে আনে। কখনো মডেলিংয়ের প্রতিশ্রুতি, কখনো চাকরির সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের ফাঁদে ফেলে তিনি তৈরি করেন যৌনপল্লীর এক অদৃশ্য নেটওয়ার্ক। এই তরুণীদের দিয়েই পরিচালিত হয় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তার গোপন দেহ ব্যবসা।
অভিযোগ রয়েছে, কাস্টমারদের মোবাইল ফোনে ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাবুর গোপন আস্তানায়। সেখানে গোপনে ধারণ করা হয় আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি, পরে সেইসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। বহু ভুক্তভোগী লজ্জা ও ভয় পেয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাননি। বাবুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলো পরীক্ষা করলে এই ভয়ংকর সত্যের অনেক প্রমাণ মিলবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আরও জানা গেছে, অবৈধ দেহ ব্যবসা ও ব্ল্যাকমেইলের টাকা দিয়ে বাবু গড়ে তুলেছেন এক বিলাসবহুল জীবনযাত্রা। রাজারবাগ মৌজার বৌদ্ধ মন্দির এলাকার মায়াকাননে রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট। সেখানে যাতায়াত করেন শহরের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি, যাদের সহযোগিতায় বাবু দীর্ঘদিন ধরে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে এই টেইলার্সের অস্বাভাবিক কার্যক্রম লক্ষ্য করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। “আলপনা টেইলার্স” এখন এলাকাবাসীর আতঙ্কের নাম—যেখানে সেলাইয়ের কাঁচির শব্দ নয়, শোনা যায় মানবতার চিৎকার। রাজধানীর এই অন্ধকার দেহ ব্যবসা চক্রের মূল হোতা বাবু ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি উঠেছে সর্বস্তরে।