১১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস নতুন বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার রূপরেখা দিতে পারতেন :মেজর মান্নান

  • আপডেট: ০৭:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) আবদুল মান্নান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন,
জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান শুধু ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতনই ছিল না। জাতির সামনে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন জেগে উঠেছিল। ড.মুহাম্মদ ইউনূস জাতির এই নবজাগরণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতির সামনে জুলাই জাতীয় সনদ নামে একটি কার্যকর দলিল জাতির কাছে রেখে যেতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি তাঁর চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি। বাস্তবতা হলো সব বিষয়ে সব মানুষ একমত হবেন এটাও আশা করা যায় না।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। দুর্ভাগ্যের বিষয় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব এজেন্ডা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি তারা দেশের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের কল্যাণে বেশি মনোযোগী হয়েছেন এবং লাভ ক্ষতির হিসাব নিকাশ মেলাতে পারেনি। তারা এতই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছে যে, শুধু দেশের মানুষের কথা ভাবলেই তো হবে না তাদের নেতা-কর্মীদের কথাও ভাবতে হবে। এরকম স্বার্থ দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে কখনোই ঐকমতে পৌঁছানো সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। গণভোট প্রশ্নে দেশ আজ নানাভাবে বিভক্ত। অথচ জুলাই জাতীয় সনদ নিছক একটি সনদই নয় এটা একটি নতুন বাংলাদেশের রূপান্তরিত দলিল। জাতি হিসাবে আমরা যদি নতুন আশার জন্ম দিতে না পারি বহু প্রাণের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন এক ট্রাজেডিতে পরিণত হবে। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান আশা করছি।
কিন্তু শাসনব্যবস্থার সংস্কার এবং জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট যা জুলাই সনদ নামে জাতির নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে তা সরকারি অনুমোদন এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় গ্রহণ ব্যতীত জাতীয় নির্বাচন অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে।
সবাইকে মনে রাখতে হবে, ৭২ এর সংবিধানকে কাটআউট করে হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে ভারতের কয়েদ রাজ্যে পরিণত করেছিল! ৭২ এর পুরনো সংবিধানের উপর ভর করা ফেব্রুয়ারির মত নির্বাচন আগামী দিনে বাংলাদেশে সম্ভব হবে না।
তাই সংবিধান সংস্কার ও জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের দলিল – গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদনকরণ ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান জাতির মঙ্গল বয়ে আনবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস নতুন বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার রূপরেখা দিতে পারতেন :মেজর মান্নান

আপডেট: ০৭:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) আবদুল মান্নান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন,
জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান শুধু ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতনই ছিল না। জাতির সামনে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন জেগে উঠেছিল। ড.মুহাম্মদ ইউনূস জাতির এই নবজাগরণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতির সামনে জুলাই জাতীয় সনদ নামে একটি কার্যকর দলিল জাতির কাছে রেখে যেতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি তাঁর চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি। বাস্তবতা হলো সব বিষয়ে সব মানুষ একমত হবেন এটাও আশা করা যায় না।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। দুর্ভাগ্যের বিষয় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব এজেন্ডা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি তারা দেশের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের কল্যাণে বেশি মনোযোগী হয়েছেন এবং লাভ ক্ষতির হিসাব নিকাশ মেলাতে পারেনি। তারা এতই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছে যে, শুধু দেশের মানুষের কথা ভাবলেই তো হবে না তাদের নেতা-কর্মীদের কথাও ভাবতে হবে। এরকম স্বার্থ দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে কখনোই ঐকমতে পৌঁছানো সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। গণভোট প্রশ্নে দেশ আজ নানাভাবে বিভক্ত। অথচ জুলাই জাতীয় সনদ নিছক একটি সনদই নয় এটা একটি নতুন বাংলাদেশের রূপান্তরিত দলিল। জাতি হিসাবে আমরা যদি নতুন আশার জন্ম দিতে না পারি বহু প্রাণের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন এক ট্রাজেডিতে পরিণত হবে। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান আশা করছি।
কিন্তু শাসনব্যবস্থার সংস্কার এবং জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট যা জুলাই সনদ নামে জাতির নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে তা সরকারি অনুমোদন এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় গ্রহণ ব্যতীত জাতীয় নির্বাচন অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে।
সবাইকে মনে রাখতে হবে, ৭২ এর সংবিধানকে কাটআউট করে হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে ভারতের কয়েদ রাজ্যে পরিণত করেছিল! ৭২ এর পুরনো সংবিধানের উপর ভর করা ফেব্রুয়ারির মত নির্বাচন আগামী দিনে বাংলাদেশে সম্ভব হবে না।
তাই সংবিধান সংস্কার ও জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের দলিল – গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদনকরণ ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান জাতির মঙ্গল বয়ে আনবে।