০৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদক-চোরাচালান রুখতে বিজিবির সচেতনতা সভা:আহত ৬ জনকে আর্থিক সহায়তা

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৮:৪৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • /

নিজস্ব প্রতিবেদক;

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি জনপদে বসবাসরত অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবি।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ই জুলাই) সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী সীমান্তের জামছড়ি বিওপিতে আয়োজিত হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী মানবিক ও সচেতনতামূলক সভা।

এদিন সকাল থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ, মাদক, চোরাচালান, মাইন বিস্ফোরণ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভা, মাইন বিস্ফোরণে আহতদের ৬ জনের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি।

উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইনে প্রায় ২০০ জন অসহায়, দুঃস্থ ও গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি ১৫০ জনের বেশি মানুষকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সীমান্তে নানা ঝুঁকি ও নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় সচেতনতা বাড়াতে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্থানীয় জনগণকে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস।

তিনি বলেন,”শুধু সীমান্ত পাহারা নয়, সীমান্তবাসীর কল্যাণেও বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। মানবিক ও কল্যাণমূলক এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।”

তিনি আরও বলেন,”মাদক, চোরাচালান, মাইন বিস্ফোরণ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে স্থানীয়দের সচেতন ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা অপরিহার্য।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিজিবি সদস্যরা।

সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় স্থানীয়দের মাঝে বিজিবির ভাবমূর্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজ নুরুল আলম বলেন,”বিজিবির এই সহায়তা আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। সীমান্তে এমন কর্মসূচি নিয়মিত হলে আরও উপকৃত হবো।”

উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) চলমান সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যক্রমের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা ও সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা সীমান্ত এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদক-চোরাচালান রুখতে বিজিবির সচেতনতা সভা:আহত ৬ জনকে আর্থিক সহায়তা

আপডেট: ০৮:৪৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক;

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি জনপদে বসবাসরত অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবি।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ই জুলাই) সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী সীমান্তের জামছড়ি বিওপিতে আয়োজিত হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী মানবিক ও সচেতনতামূলক সভা।

এদিন সকাল থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ, মাদক, চোরাচালান, মাইন বিস্ফোরণ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভা, মাইন বিস্ফোরণে আহতদের ৬ জনের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি।

উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইনে প্রায় ২০০ জন অসহায়, দুঃস্থ ও গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি ১৫০ জনের বেশি মানুষকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সীমান্তে নানা ঝুঁকি ও নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় সচেতনতা বাড়াতে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্থানীয় জনগণকে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস।

তিনি বলেন,”শুধু সীমান্ত পাহারা নয়, সীমান্তবাসীর কল্যাণেও বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। মানবিক ও কল্যাণমূলক এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।”

তিনি আরও বলেন,”মাদক, চোরাচালান, মাইন বিস্ফোরণ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে স্থানীয়দের সচেতন ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা অপরিহার্য।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিজিবি সদস্যরা।

সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় স্থানীয়দের মাঝে বিজিবির ভাবমূর্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজ নুরুল আলম বলেন,”বিজিবির এই সহায়তা আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। সীমান্তে এমন কর্মসূচি নিয়মিত হলে আরও উপকৃত হবো।”

উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) চলমান সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যক্রমের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা ও সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা সীমান্ত এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।