বিদেশি অস্ত্র-গ্রেনেড ও মাদক, র্যাব-১০’র টানা অভিযানে যা যা উদ্ধার

- আপডেট: ০৭:৫৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৮০১২
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবৈধ অস্ত্র,গ্রেনেড ও মাদকবিরোধী টানা অভিযানে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০।
এসব অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিদেশি পিস্তল,ম্যাগজিন, গুলি,অবিস্ফোরিত গ্রেনেড,বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইয়াবা। গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক আসামিকে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি জানান,গত সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের নেকরোজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো.সাহিদ (৪৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে পুরাতন একটি মুরগির খামার থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগজিন,তিন রাউন্ড গুলি,১৭৫ পিস ইয়াবা,৯৫ গ্রাম গাঁজা,চারটি মোবাইল ফোনসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় কচুয়া থানার মাঝিগাছা এলাকায় একটি টিনের ঘরের পাশে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় একটি বিদেশি তড়াশ পিস্তল,দুইটি ম্যাগজিন এবং আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন,গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে সাধন সরকার ওরফে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যে একটি সিমেন্টের দোকানের ভেতর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল,একটি ম্যাগজিন এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া গত ৩১ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকার ফ্যান্টাসি টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে চারটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার করে র্যাব-১০ এর যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল। এসময় ফয়সাল খান (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে ১ সেপ্টেম্বর ডেমরা এলাকা থেকে আরও চারটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ৩১ আগস্ট ভোরে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের গদাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ১১০ কেজি গাঁজাসহ মো.ইউনুস নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব-১০,সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্প।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন,“এই অভিযান ছিল নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও পেশাদারিত্বের উজ্জ্বল উদাহরণ। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের উৎস এবং ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন,জনগণ চাইলে এ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করতে পারে। যে কোনো অবৈধ অস্ত্র,মাদক বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য র্যাবকে জানাতে হবে। একটি তথ্য একটি জীবন কিংবা একটি পরিবারকে রক্ষা করতে পারে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।