০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

পুলিশের খোয়া যাওয়া ১ হাজার ৩৫০টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি: আইজিপি

  • আপডেট: ০৩:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

পুলিশের খোয়া যাওয়া ১ হাজার ৩৫০টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন,ধারণা করা হচ্ছে এসব অস্ত্র পার্বত্যাঞ্চল এবং আরসাসহ নানা জনের কাছে গেছে। তবে অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় পুলিশ সদরদপ্তরের হল অব ইন্টিগ্রিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

নির্বাচনে সামনে রেখে পুলিশের চ্যালেঞ্জের কথা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন,২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। সেখান থেকে এক বছরে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু আমরা চাচ্ছি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন করতে। আমাদের বিশ্বাস এটা পারবো।

তিনি বলেন, তবে কোনো শক্তির কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের বিষয়ে আইজিপি বলেন,এখন পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি ১৩৫০টি। আমরা নিয়মিত অস্ত্র উদ্ধার করছি। আমরা যদি জানতাম অস্ত্র কার হাতে তাহলে কথাই ছিলো না। কিন্তু সবাইকে সন্দেহের তালিকায় রাখছি। আমরা ধারণা করছি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে যেতে পারে,কিছু পাহাড়ি কিংবা আরসার হাতে যেতে পারে। এগুলো সব আমাদের সন্দেহ। সব কিছু মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।

পুলিশের সাবেক আইজিপিরা বলছে,বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন তাদের দিয়ে নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব না। পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমটা সক্ষম। এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন,আমরা সক্ষম,আপনারা যত যা-ই বলেন। আমরা ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগে কখনো একই সঙ্গে এতো পরিমাণ পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নি। আমরা তাদের নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ,ভোটিং,নির্বাচন কেন্দ্রের বিধিবিধান শেখানো হবে। হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়ার আগে প্রত্যেকের বিষয় খোঁজ নেওয়া হবে। যদি কাউকে মনে হয় তাকে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। আগামী নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার মোতায়েন হবে। গত নির্বাচনে ছিলো ১ লাখ ৪৩ হাজার। নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩/৪ শ বেড়েছে। আমরা গত জুন মাস থেকে পেশাদারিত্ব,নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় একটি মডিউল তৈরি করে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে এই মাসের ৭ তারিখ থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিন ধাপে ২২০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা সারাদেশে আগামী ৫ই অক্টোবর থেকে দেশের ১৩০ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক যোগে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করবেন। আগামী ১৫ই জানুয়ারি দেড় লাখ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হবো। এই প্রশিক্ষণে অডিও,ভিডিওসহ অত্যাধুনিকভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অস্ত্রের নিতিমালা মেনে অস্ত্র ব্যবহার হবে।

থানা থেকে ব্যক্তিগত অস্ত্র লুটের সংখ্যার বিষয় আইজিপি বলেন, অল্প কিছু অস্ত্র থানা থেকে লুট হয়েছে। পুলিশের অস্ত্রের সংখ্যা বেশি। বৈধ অস্ত্র সরকার জমা নিয়েছে। ২০০৯ সাল ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল অস্ত্র আমরা জমা নিয়েছি। কিন্তু যারা জমা দেন নি আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে।

নির্বাচনে পুলিশের প্রশিক্ষণের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, গত নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের ১৬ লাখ জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। যেখানে পুলিশের পরিমাণ ৯ শতাংশ। এবারও কাছাকাছি সংখ্যক কর্মকর্তা কাজ করছি। আমরা যে নির্বাচনে প্রশিক্ষণের মডিউল তৈরি করেছি সেটা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়েই করেছি। সকল বিধিমালা নিয়ে তাদের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের নিজস্ব বিধিমালা নিয়েই প্রস্তুতি করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

পুলিশের খোয়া যাওয়া ১ হাজার ৩৫০টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি: আইজিপি

আপডেট: ০৩:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

পুলিশের খোয়া যাওয়া ১ হাজার ৩৫০টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন,ধারণা করা হচ্ছে এসব অস্ত্র পার্বত্যাঞ্চল এবং আরসাসহ নানা জনের কাছে গেছে। তবে অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় পুলিশ সদরদপ্তরের হল অব ইন্টিগ্রিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

নির্বাচনে সামনে রেখে পুলিশের চ্যালেঞ্জের কথা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন,২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। সেখান থেকে এক বছরে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু আমরা চাচ্ছি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন করতে। আমাদের বিশ্বাস এটা পারবো।

তিনি বলেন, তবে কোনো শক্তির কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের বিষয়ে আইজিপি বলেন,এখন পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি ১৩৫০টি। আমরা নিয়মিত অস্ত্র উদ্ধার করছি। আমরা যদি জানতাম অস্ত্র কার হাতে তাহলে কথাই ছিলো না। কিন্তু সবাইকে সন্দেহের তালিকায় রাখছি। আমরা ধারণা করছি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে যেতে পারে,কিছু পাহাড়ি কিংবা আরসার হাতে যেতে পারে। এগুলো সব আমাদের সন্দেহ। সব কিছু মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।

পুলিশের সাবেক আইজিপিরা বলছে,বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন তাদের দিয়ে নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব না। পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমটা সক্ষম। এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন,আমরা সক্ষম,আপনারা যত যা-ই বলেন। আমরা ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগে কখনো একই সঙ্গে এতো পরিমাণ পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নি। আমরা তাদের নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ,ভোটিং,নির্বাচন কেন্দ্রের বিধিবিধান শেখানো হবে। হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়ার আগে প্রত্যেকের বিষয় খোঁজ নেওয়া হবে। যদি কাউকে মনে হয় তাকে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। আগামী নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার মোতায়েন হবে। গত নির্বাচনে ছিলো ১ লাখ ৪৩ হাজার। নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩/৪ শ বেড়েছে। আমরা গত জুন মাস থেকে পেশাদারিত্ব,নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় একটি মডিউল তৈরি করে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে এই মাসের ৭ তারিখ থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিন ধাপে ২২০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা সারাদেশে আগামী ৫ই অক্টোবর থেকে দেশের ১৩০ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক যোগে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করবেন। আগামী ১৫ই জানুয়ারি দেড় লাখ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হবো। এই প্রশিক্ষণে অডিও,ভিডিওসহ অত্যাধুনিকভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অস্ত্রের নিতিমালা মেনে অস্ত্র ব্যবহার হবে।

থানা থেকে ব্যক্তিগত অস্ত্র লুটের সংখ্যার বিষয় আইজিপি বলেন, অল্প কিছু অস্ত্র থানা থেকে লুট হয়েছে। পুলিশের অস্ত্রের সংখ্যা বেশি। বৈধ অস্ত্র সরকার জমা নিয়েছে। ২০০৯ সাল ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল অস্ত্র আমরা জমা নিয়েছি। কিন্তু যারা জমা দেন নি আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে।

নির্বাচনে পুলিশের প্রশিক্ষণের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, গত নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের ১৬ লাখ জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। যেখানে পুলিশের পরিমাণ ৯ শতাংশ। এবারও কাছাকাছি সংখ্যক কর্মকর্তা কাজ করছি। আমরা যে নির্বাচনে প্রশিক্ষণের মডিউল তৈরি করেছি সেটা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়েই করেছি। সকল বিধিমালা নিয়ে তাদের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের নিজস্ব বিধিমালা নিয়েই প্রস্তুতি করা হচ্ছে।