ডিএমপিতে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রকল্পের সপ্তম সমন্বয় সভা
- আপডেট: ১১:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০১০
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি)’সপ্তম যৌথ সমন্বয় কমিটির (জেসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এবং প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ড.মো.জিললুর রহমানের সভাপতিত্বে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো.সরওয়ার, বিপিএম-সেবা। সমন্বয় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এবং প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ড. মো. জিললুর রহমান। এরপর জাইকা,বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিআরএসপির প্রজেক্ট ফর্মুলেশন অ্যাডভাইজার শোকো সাকোমা।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো.সরওয়ার বলেন,রোড সেফটি প্রজেক্টের মাধ্যমে সরকার ও ডিএমপি উভয়ই উপকৃত হচ্ছে। প্রকল্পের দুর্ঘটনাজনিত বিশ্লেষণ সফটওয়্যার (ডিএআরসি) রোড সেফটি ম্যানেজমেন্টে সহায়তা করবে এবং দুর্ঘটনা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে শিশুদের ট্র্যাফিক শিক্ষা কার্যক্রম,ট্র্যাফিক ড্রাইভিং স্কুল,রাজারবাগে ট্র্যাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং আগস্ট মাস থেকে ট্র্যাফিক সিগন্যাল লাইট ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ড.মো. জিললুর রহমান বলেন,ট্রাফিক জ্যামের সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব নয়। এ জন্য জনগণ ও ট্রাফিক পুলিশকে আরও সচেতন হতে হবে। জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতার মাধ্যমে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ডিআরএসপির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—প্র্যক্টিক্যাল পার্টিসিপেশন এডুকেশন প্রোগ্রাম (পিপিইপি) এর অধীনে চারটি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কোর্সের আওতায় ডিএমপির ৬০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া,৮টি ট্রাফিক বিভাগের আওতাধীন এলাকায় মোট ৪১টি স্কুলে পিপিইপি বাস্তবায়ন, ডিআরএসপির আওতায় ডিএমপি সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে।
তাছাড়াও ডিআরএসপির আওতায় ট্রাফিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ডিএমপির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করার জন্য “ডাটাবেজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস অফ রোড ক্র্যাশ (ডিএআরসি)” অ্যাপ চালু করে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য “রেসপন্ডিং অফিসার অবজারভেশন ফর্ম (রুফ)” চালু করা হয়েছে।
পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জনগণের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করার জন্য মিরপুর এলাকায় নিরাপদ পথচারি পারাপারের পাইলট প্রকল্প সম্পন্ন করা হয়েছে। আরেকটি পাইলট প্রোজেক্ট “ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার (টিএসইসি)”। এর মূল লক্ষ্য হলো প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও সিমুলেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ডিআরএসপির আওতায় ইতোমধ্যে জাপানে এবং ভারতের হায়দ্রাবাদে একাধিক প্রশিক্ষণ সেশনে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
তাছাড়া ইতোমধ্যে ঢাকার সড়ক নিরাপত্তার প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের জন্য একটি মিডিয়া ফেলোশিপ প্রোগ্রাম করা হয়েছে।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা,জাইকার কর্মকর্তারা,জাইকার এক্সপার্ট টিম, বিআরটিএ,ডিটিসিএ, ডিএসসিসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত কমিটির সদস্যরা ডিআরএসপির বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।
প্রসঙ্গত,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক “ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)” ঢাকা মহানগর এলাকায় ২০২২ সালের মার্চ থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।




















