১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

জেনেভা ক্যাম্পে মাদক আনা-নেয়ার সাথে বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা যুক্ত: এডিসি মোহাম্মদপুর

  • আপডেট: ০৩:১৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে
প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশী ভাড়াটিয়ারা বসবাস করছে। যার ফলে এই এলাকার পরিবেশ আরও বিপর্যয় হচ্ছে। একই সঙ্গে এদের অধিকাংশই অপরাধের সাথে যুক্ত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাদক আনা-নেয়ার সাথে এই বহিরাগত ভাড়াটিয়া যুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি জুয়েল রানা।

তিনি বলেছেন,জেনেভা ক্যাম্পে বহিরাগত বাংলাদেশীদের থাকার আইনগত সুযোগ নেই। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়ায় সবার সাথে আলোচনা করে তাদেরকে আমরা উচ্ছেদ করব।

রবিবার (০২নভেম্বর) বেলা ১২টা নাগাদ মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে পরিদর্শন শুরু হয়। পরিদর্শন শেষে এসব বলেন তিনি।

জুয়েল রানা বলেন,জেনেভা ক্যাম্প ইতিমধ্যে একটা মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গেছে। অর্থাৎ বসবাসের সম্পূর্ণ শতভাগ অনুপযোগী। বর্তমানে জেনেভা ক্যাম্প। এর উপরে আরো বিস্ফোরা হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাহিরের মানে সাধারণ বাংলাদেশী নাগরিক। আমাদের হিসাব মতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশী ভাড়াটিয়ারা বিভিন্নভাবে এখানে বসবাস করছে। এতে পরিবেশ আরো কয়েক গুণ নষ্ট হচ্ছে। এদের অধিকাংশই অপরাধের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাদক আনা-নেয়ার সাথে এই বহিরাগত ভাড়াটিয়া তারা যুক্ত। এরপরে আরো একটা দুঃখজনক বিষয় জেনাভা ক্যাম্পের মালিক তো সরকার। সরকার মালিক কিন্তু এরকমও আমরা পেয়েছি যে নোয়াখালীর মানুষ জেনাভা ক্যাম্পের মালিক হয়েছে। অবৈধ ভাবে আরেক জনের থেকে রুম ক্রয় করে,বিল্ডিং ক্রয় করে। এই কারণে আমরা সামষ্টিকগতভাবে চিন্তা করতেছি যে এখানে যারা বহিরাগত আছে,যাদের এখানে থাকার আইনগত সুযোগ নাই তাদের এখান থেকে আমরা উচ্ছেদ করব। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়ায় সবার সাথে আলোচনা করে উচ্ছেদ করব। যাতে প্রাইমারি পর্যায়ে কিছু চাপটা কমানো যায়।

তিনি বলেন,মানুষের আমরা যেটা বলেছি যে,এখানে এমনিতেই রাস্তাগুলো দখল হয়ে গেছে। এরপর আবার নতুন করে যানবাহন রিকশা,ভ্যান,মোটরসাইকেল যেগুলো এই অপরাধের সাথে যুক্ত মাদক নিয়ে আসে মাদক কিনতে আসে। এজন্য আমরা জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে এই যানবহনগুলো চলাচল একটু রেস্ট্রিক্ট করতে চাচ্ছি। পায়ে হাটা যাবে। যাতে মানুষজন সহজে চলাফেরা করতে পারে।

এসময় তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চল ৫-এর নির্বাহী অফিসার মোহম্মদ সাদিকুর রহমান- এর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,এখানে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মানবিক কিছু কাজ করতে হবে। এখানে একটা স্কুল আছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমেও সমাজের বৃত্তবান বা এনজিওদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা আসুন ভিজিট করুন। যদিও এখানে একটা স্কুল আছে খুবই পুরাতন অবস্থায়। আধুনিক ফ্যাসিলিটি নাই। যদি কেউ সাহায্য দিতে চান,আমরা সহযোগিতা করব। স্কুলটা আর মেডিকেল ফ্যাসিলিটি একেবারে ভয়াবহ অবস্থা। এক লাখ লোকের জন্য ডেডিকেটেড কোন মেডিকেল ফ্যাসিলিটি নাই। ডেডিকেটেড স্কুল কলেজ নাই। আমরাও চেষ্টা করব, আরো কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি যদি সমাজের কোন বিত্তবান ব্যক্তি এনজিও যদি এরকম একটা মানবিক কাজে সাড়া দিয়ে আসতে চায় তাহলে আমরা তাদের ওয়েলকাম জানাবো এবং শতভাগ সহযোগিতা করব।

তিনি বলেন, আমরা যেটা বোঝাইতে চাচ্ছি যে এখানে অপরাধটা আসলে বেশি। আমি অপরাধীকে ধরতে পারি, মারতে পারি,কাটতে পারি,জেলে পাঠাইতে পারি। কিন্তু তাকে যদি আমি একটা সুন্দর জীবনের ব্যবস্থা না করতে পারি। মৌলিক অধিকার যেটা আছে সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত সেগুলো যদি দিতে না পারি তাহলে আমি কোন মুখ নিয়ে এদের বলব অপরাধ করবেন না?

প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোন কিছু অস্বীকার করছি না। এখানে সকালে অভিযান করলে বিকেলে মাদক বিক্রি করে,বিকেলে করলে সন্ধ্যায়, আর সন্ধ্যায় করলে রাতে আবার মাদক বিক্রি করে। এখানকার হাজার হাজার মানুষ কোন জীবিকার উপায় না পেয়ে এসব করছে। এই দায়টাও আমাদের। আমরা জীবিকা দিতে পারি নাই। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমরা তাদের নতুন কোন জীবিকার সন্ধান দিতে পারি নাই। ফলে এরা বাধ্য হয়ে পরিবেশের কারণে মাদকের সাথে যুক্ত হয়েছে। মাদক বিক্রি করতেছে,সংসার চালাচ্ছে পেটের দায়ে।

তিনি বলেন,তাদেরকে আমরা এই জাহান্নামী জীবন থেকে বের করে আনতে চাই। এরপরে এখানে আর মাদক বিক্রি হবে না। এরা নতুন নতুন জীবিকার সন্ধান পাবে। এখন যে জনসংখ্যার সমস্যা আছে জেনেভা ক্যাম্পে এটা ইনশআল্লাহ একসময় বাংলাদেশের জনসম্পদে পরিণত হবে। আমি আশা করি একদিন এই জেনেভা ক্যাম্পের একটা বাচ্চা আমার মত এডিসি হিসেবে এইখানে দায়িত্ব পাবে।

মাদক ব্যাবসা ও অপরাধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে এটা তো অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে অপরাধ প্রবণ এলাকা হচ্ছে মোহাম্মদপুর। যুগের পর যুগ এটা হচ্ছে যে,মাফিয়া সন্ত্রাসী খুনি সিরিয়াল কিলার মাদক ব্যবসায়ীদের আতুরঘর মোহাম্মদপুর। এটা অতীতকালে দেখছেন যে এখানে মানুষজনের বসতি কম ছিল। গরিব মানুষ সমাজের অশিক্ষিত টোকাই শ্রেণীর লোকজন বসবাস করত। এরাই ধীরে ধীরে অপরাধের সাথে যুক্ত হতো এবং সারা ঢাকা শহরে অপরাধ করতো। এখন একদিনে সব সমাধান করতে পারবো না। তবে আপনাদেরও স্বীকার করতে হবে যে বিগত যেকোন দিনের তুলনায় আমরা কিন্তু ব্যাপক পরিশ্রম করতেছি। আইনশৃঙ্খলা আগের যেকোন সময়ের থেকে নিরাপদ।

উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন,জেনেভা ক্যাম্পে আমরা কয়েকটা জায়গায় চেকপোস্ট করছি। আমরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা করেছি। আমাদের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। এখানে চেকপোস্ট থাকবে। এটি কিছুটা রেস্ট্রিকশন থাকবে। আমরা বলেছি যে বাহিরের লোকজন যারা অবৈধভাবে এখানে থাকে তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। পাশাপাশি আমাদের মোড়ে মোড়ে পার্মানেন্ট পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে এখানে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটা একটা বড় কারণ হচ্ছে আগামীতে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এবং এই জাতীয় নির্বাচন যাতে এই এলাকায় সুষ্ঠভাবে নিরাপদ পরিবেশে হয় এটা আমাদের অন্যতম প্রায়োরিটি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

জেনেভা ক্যাম্পে মাদক আনা-নেয়ার সাথে বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা যুক্ত: এডিসি মোহাম্মদপুর

আপডেট: ০৩:১৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে
প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশী ভাড়াটিয়ারা বসবাস করছে। যার ফলে এই এলাকার পরিবেশ আরও বিপর্যয় হচ্ছে। একই সঙ্গে এদের অধিকাংশই অপরাধের সাথে যুক্ত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাদক আনা-নেয়ার সাথে এই বহিরাগত ভাড়াটিয়া যুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি জুয়েল রানা।

তিনি বলেছেন,জেনেভা ক্যাম্পে বহিরাগত বাংলাদেশীদের থাকার আইনগত সুযোগ নেই। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়ায় সবার সাথে আলোচনা করে তাদেরকে আমরা উচ্ছেদ করব।

রবিবার (০২নভেম্বর) বেলা ১২টা নাগাদ মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে পরিদর্শন শুরু হয়। পরিদর্শন শেষে এসব বলেন তিনি।

জুয়েল রানা বলেন,জেনেভা ক্যাম্প ইতিমধ্যে একটা মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গেছে। অর্থাৎ বসবাসের সম্পূর্ণ শতভাগ অনুপযোগী। বর্তমানে জেনেভা ক্যাম্প। এর উপরে আরো বিস্ফোরা হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাহিরের মানে সাধারণ বাংলাদেশী নাগরিক। আমাদের হিসাব মতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশী ভাড়াটিয়ারা বিভিন্নভাবে এখানে বসবাস করছে। এতে পরিবেশ আরো কয়েক গুণ নষ্ট হচ্ছে। এদের অধিকাংশই অপরাধের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাদক আনা-নেয়ার সাথে এই বহিরাগত ভাড়াটিয়া তারা যুক্ত। এরপরে আরো একটা দুঃখজনক বিষয় জেনাভা ক্যাম্পের মালিক তো সরকার। সরকার মালিক কিন্তু এরকমও আমরা পেয়েছি যে নোয়াখালীর মানুষ জেনাভা ক্যাম্পের মালিক হয়েছে। অবৈধ ভাবে আরেক জনের থেকে রুম ক্রয় করে,বিল্ডিং ক্রয় করে। এই কারণে আমরা সামষ্টিকগতভাবে চিন্তা করতেছি যে এখানে যারা বহিরাগত আছে,যাদের এখানে থাকার আইনগত সুযোগ নাই তাদের এখান থেকে আমরা উচ্ছেদ করব। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়ায় সবার সাথে আলোচনা করে উচ্ছেদ করব। যাতে প্রাইমারি পর্যায়ে কিছু চাপটা কমানো যায়।

তিনি বলেন,মানুষের আমরা যেটা বলেছি যে,এখানে এমনিতেই রাস্তাগুলো দখল হয়ে গেছে। এরপর আবার নতুন করে যানবাহন রিকশা,ভ্যান,মোটরসাইকেল যেগুলো এই অপরাধের সাথে যুক্ত মাদক নিয়ে আসে মাদক কিনতে আসে। এজন্য আমরা জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে এই যানবহনগুলো চলাচল একটু রেস্ট্রিক্ট করতে চাচ্ছি। পায়ে হাটা যাবে। যাতে মানুষজন সহজে চলাফেরা করতে পারে।

এসময় তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চল ৫-এর নির্বাহী অফিসার মোহম্মদ সাদিকুর রহমান- এর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,এখানে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মানবিক কিছু কাজ করতে হবে। এখানে একটা স্কুল আছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমেও সমাজের বৃত্তবান বা এনজিওদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা আসুন ভিজিট করুন। যদিও এখানে একটা স্কুল আছে খুবই পুরাতন অবস্থায়। আধুনিক ফ্যাসিলিটি নাই। যদি কেউ সাহায্য দিতে চান,আমরা সহযোগিতা করব। স্কুলটা আর মেডিকেল ফ্যাসিলিটি একেবারে ভয়াবহ অবস্থা। এক লাখ লোকের জন্য ডেডিকেটেড কোন মেডিকেল ফ্যাসিলিটি নাই। ডেডিকেটেড স্কুল কলেজ নাই। আমরাও চেষ্টা করব, আরো কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি যদি সমাজের কোন বিত্তবান ব্যক্তি এনজিও যদি এরকম একটা মানবিক কাজে সাড়া দিয়ে আসতে চায় তাহলে আমরা তাদের ওয়েলকাম জানাবো এবং শতভাগ সহযোগিতা করব।

তিনি বলেন, আমরা যেটা বোঝাইতে চাচ্ছি যে এখানে অপরাধটা আসলে বেশি। আমি অপরাধীকে ধরতে পারি, মারতে পারি,কাটতে পারি,জেলে পাঠাইতে পারি। কিন্তু তাকে যদি আমি একটা সুন্দর জীবনের ব্যবস্থা না করতে পারি। মৌলিক অধিকার যেটা আছে সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত সেগুলো যদি দিতে না পারি তাহলে আমি কোন মুখ নিয়ে এদের বলব অপরাধ করবেন না?

প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোন কিছু অস্বীকার করছি না। এখানে সকালে অভিযান করলে বিকেলে মাদক বিক্রি করে,বিকেলে করলে সন্ধ্যায়, আর সন্ধ্যায় করলে রাতে আবার মাদক বিক্রি করে। এখানকার হাজার হাজার মানুষ কোন জীবিকার উপায় না পেয়ে এসব করছে। এই দায়টাও আমাদের। আমরা জীবিকা দিতে পারি নাই। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমরা তাদের নতুন কোন জীবিকার সন্ধান দিতে পারি নাই। ফলে এরা বাধ্য হয়ে পরিবেশের কারণে মাদকের সাথে যুক্ত হয়েছে। মাদক বিক্রি করতেছে,সংসার চালাচ্ছে পেটের দায়ে।

তিনি বলেন,তাদেরকে আমরা এই জাহান্নামী জীবন থেকে বের করে আনতে চাই। এরপরে এখানে আর মাদক বিক্রি হবে না। এরা নতুন নতুন জীবিকার সন্ধান পাবে। এখন যে জনসংখ্যার সমস্যা আছে জেনেভা ক্যাম্পে এটা ইনশআল্লাহ একসময় বাংলাদেশের জনসম্পদে পরিণত হবে। আমি আশা করি একদিন এই জেনেভা ক্যাম্পের একটা বাচ্চা আমার মত এডিসি হিসেবে এইখানে দায়িত্ব পাবে।

মাদক ব্যাবসা ও অপরাধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে এটা তো অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে অপরাধ প্রবণ এলাকা হচ্ছে মোহাম্মদপুর। যুগের পর যুগ এটা হচ্ছে যে,মাফিয়া সন্ত্রাসী খুনি সিরিয়াল কিলার মাদক ব্যবসায়ীদের আতুরঘর মোহাম্মদপুর। এটা অতীতকালে দেখছেন যে এখানে মানুষজনের বসতি কম ছিল। গরিব মানুষ সমাজের অশিক্ষিত টোকাই শ্রেণীর লোকজন বসবাস করত। এরাই ধীরে ধীরে অপরাধের সাথে যুক্ত হতো এবং সারা ঢাকা শহরে অপরাধ করতো। এখন একদিনে সব সমাধান করতে পারবো না। তবে আপনাদেরও স্বীকার করতে হবে যে বিগত যেকোন দিনের তুলনায় আমরা কিন্তু ব্যাপক পরিশ্রম করতেছি। আইনশৃঙ্খলা আগের যেকোন সময়ের থেকে নিরাপদ।

উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন,জেনেভা ক্যাম্পে আমরা কয়েকটা জায়গায় চেকপোস্ট করছি। আমরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা করেছি। আমাদের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। এখানে চেকপোস্ট থাকবে। এটি কিছুটা রেস্ট্রিকশন থাকবে। আমরা বলেছি যে বাহিরের লোকজন যারা অবৈধভাবে এখানে থাকে তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। পাশাপাশি আমাদের মোড়ে মোড়ে পার্মানেন্ট পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে এখানে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটা একটা বড় কারণ হচ্ছে আগামীতে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এবং এই জাতীয় নির্বাচন যাতে এই এলাকায় সুষ্ঠভাবে নিরাপদ পরিবেশে হয় এটা আমাদের অন্যতম প্রায়োরিটি।