আলফাডাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় মামলা, চারজন গ্রেফতার
 
																
								
							
                                - আপডেট: ০২:৩২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর
ফরিদপুর-১ আসনে (আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী) বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় নাসির গ্রুপের সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিন ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এ কে এম উজ্জ্বল হোসেনের ওপর ঝুনু গ্রুপের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী বনি আমিন আলফাডাঙ্গা থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে একইসঙ্গে ঝুনু গ্রুপ আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল আলমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদর বাজারের কলেজ রোডের চুয়াল্লিশের মোড় থেকে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে পুলিশ বিএনপি নেতা ও মামলার এজাহারনামীয় আসামি খোশবুর রহমান খোকনকে গ্রেফতার করে। খোকনের পাশাপাশি আরও তিনজন বিএনপি নেতাকেও আটক করা হয়েছে। তারা হলো— উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরব আলী এবং উপজেলা যুবদল নেতা রমজান।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি শাহজালাল আলম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মামলার আসামিদের গ্রেফতারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা দায়িত্ব পালন করছি।’
উল্লেখ্য, এর আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি সম্প্রতি আলফাডাঙ্গা উপজেলা হলরুমে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ঝুনু মিয়ার গ্রুপ খন্দকার নাসিরকে বয়কট করে সভা ত্যাগ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওসি শাহজালাল আলম থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। এরই মধ্যে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট অন্তত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে— আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল, গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হাসান, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিন্টু অন্যতম।
এসব আসামি গ্রেফতারের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থা তৈরি হলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপসারণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় অনেকেই বলছেন, ওসির কঠোর অবস্থানের ফলে অপরাধ দমনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

 
																			 
																		




















