০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

এলজিইডির আইআরআইডিপি-৩,প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো.অলিউল ইসলাম,ও তার স্ত্রী আমেনা সিদ্দিকা খান, ইউজিআইআইপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপডেট: ০৩:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

এলজিইডির আইআরআইডিপি-০৩, প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ অলিউল ইসলাম,ও তার স্ত্রী আমেনা সিদ্দিকা খান, ইউজিআইআইপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে অবৈধভাবে ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি গাড়ী ফ্ল্যাট ও অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিকানা বনে গেছেন।

তাদের এসব অবৈধ উপার্জনের বিষয়ের তদন্ত চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুসলেউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে মুসলেউদ্দিন বলেন,মো. অলিউল ইসলাম, প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী, শলী, এলজিইডির প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও ঢাকায় আইআরআইডিপি-০৩, কর্মরত আছেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং-২৮১৮৩১৮০৬৬, জন্ম তারিখ-২৫/০২/১৯৭৪ইং, তার টিন ৪১৮৭৯৮১৪৬৬০৫, কর সার্কেল- ৩৫২, কর অঞ্চল-১৬, ঢাকা। তার স্ত্রীর নাম- মোছাঃ আমেনা সিদ্দিকা খান, স্বামী- মো. অলিউল ইসলাম, পিতা- মো. আনসারুল হক খান, মাতা-নূর জাহান, তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৬৪১৮৩১৮৭৭৭, জন্ম তারিখ: ০৬/০৭/১৯৭৩ইং, তার টিন নং-১৮৮০৮০১৪৪৮০১, কর সার্কেল-৭৫, অঞ্চল-০৪, ঢাকা। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাঃ বাসা-২৭৪, পশ্চিম আগারগাঁও, ওয়ার্ড নং-২৮, ডাকঘর-মোহাম্মদপুর, থানা-শেরে বাংলা নগর, জেলা-ঢাকা। তারা উভয় এলজিইডির প্রধান কার্যালয় প্রকল্প কাজ করার সুবাদে এলজিইডির প্রকল্পের অর্থ অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়ে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আমেনা সিদ্দিকার আর্থিক সূত্রে মতে জানা যায় যে, তার মোট বেতন ২ লক্ষ ২৪ হাজার। কিন্তু তিনি পাইকপাড়ায় একটি ফ্ল্যাট নিমার্ণ করিছেন যাতে ব্যয় দেখিয়েছেন ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৯২ টাকা এবং তিনি কৃষি জমি মূল্য দেখিয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। তিনি ডিপিএস দিখিয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তিনি স্বর্ণের মূল্য গোপন রেখেছেন।

তিনি ২০২১-২২ বর্ষে নীট সম্পদ দেখিয়েছেন ৩৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩২০ টাকা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তার সম্পদের পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বেশি। তার স্বামী মোঃ অলিউল ইসলাম ঘুষ দুর্নীতি করে অবৈধ ভাবে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট ও গাড়ী ক্রয় করেছেন। বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। তারা মূলত এলজিইডির অর্থ কিভাবে আত্মসাত করা যায় সেই বিষয়ে নিয়ে কাজ করে থাকেন। তারা সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলী আক্তার হোসেন এর ক্ষমতা ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি নিয়োগ বাণিজ বদলী বাণিজ্য ও টেন্ডার বাণিজ্য করে অবৈধভাবো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তারা এখন নিজদেরকে বিএনপির লোক বলে পরিচয় দিয়ে পূর্ণরায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য যে তারা বাসা ২৭৪ পশ্চিম আগারগাঁও ঢাকা বাসাটি নিজের বলে পরিচয় দিয়ে বর্তমানে তা গোপন রেখেছেন।

অতএব উপরোক্ত দুই জনের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করতে জনাবের মর্জি হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এলজিইডির আইআরআইডিপি-৩,প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো.অলিউল ইসলাম,ও তার স্ত্রী আমেনা সিদ্দিকা খান, ইউজিআইআইপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট: ০৩:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

এলজিইডির আইআরআইডিপি-০৩, প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ অলিউল ইসলাম,ও তার স্ত্রী আমেনা সিদ্দিকা খান, ইউজিআইআইপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে অবৈধভাবে ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি গাড়ী ফ্ল্যাট ও অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিকানা বনে গেছেন।

তাদের এসব অবৈধ উপার্জনের বিষয়ের তদন্ত চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুসলেউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে মুসলেউদ্দিন বলেন,মো. অলিউল ইসলাম, প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী, শলী, এলজিইডির প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও ঢাকায় আইআরআইডিপি-০৩, কর্মরত আছেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং-২৮১৮৩১৮০৬৬, জন্ম তারিখ-২৫/০২/১৯৭৪ইং, তার টিন ৪১৮৭৯৮১৪৬৬০৫, কর সার্কেল- ৩৫২, কর অঞ্চল-১৬, ঢাকা। তার স্ত্রীর নাম- মোছাঃ আমেনা সিদ্দিকা খান, স্বামী- মো. অলিউল ইসলাম, পিতা- মো. আনসারুল হক খান, মাতা-নূর জাহান, তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৬৪১৮৩১৮৭৭৭, জন্ম তারিখ: ০৬/০৭/১৯৭৩ইং, তার টিন নং-১৮৮০৮০১৪৪৮০১, কর সার্কেল-৭৫, অঞ্চল-০৪, ঢাকা। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাঃ বাসা-২৭৪, পশ্চিম আগারগাঁও, ওয়ার্ড নং-২৮, ডাকঘর-মোহাম্মদপুর, থানা-শেরে বাংলা নগর, জেলা-ঢাকা। তারা উভয় এলজিইডির প্রধান কার্যালয় প্রকল্প কাজ করার সুবাদে এলজিইডির প্রকল্পের অর্থ অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়ে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আমেনা সিদ্দিকার আর্থিক সূত্রে মতে জানা যায় যে, তার মোট বেতন ২ লক্ষ ২৪ হাজার। কিন্তু তিনি পাইকপাড়ায় একটি ফ্ল্যাট নিমার্ণ করিছেন যাতে ব্যয় দেখিয়েছেন ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৯২ টাকা এবং তিনি কৃষি জমি মূল্য দেখিয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। তিনি ডিপিএস দিখিয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তিনি স্বর্ণের মূল্য গোপন রেখেছেন।

তিনি ২০২১-২২ বর্ষে নীট সম্পদ দেখিয়েছেন ৩৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩২০ টাকা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তার সম্পদের পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বেশি। তার স্বামী মোঃ অলিউল ইসলাম ঘুষ দুর্নীতি করে অবৈধ ভাবে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট ও গাড়ী ক্রয় করেছেন। বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। তারা মূলত এলজিইডির অর্থ কিভাবে আত্মসাত করা যায় সেই বিষয়ে নিয়ে কাজ করে থাকেন। তারা সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলী আক্তার হোসেন এর ক্ষমতা ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি নিয়োগ বাণিজ বদলী বাণিজ্য ও টেন্ডার বাণিজ্য করে অবৈধভাবো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তারা এখন নিজদেরকে বিএনপির লোক বলে পরিচয় দিয়ে পূর্ণরায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য যে তারা বাসা ২৭৪ পশ্চিম আগারগাঁও ঢাকা বাসাটি নিজের বলে পরিচয় দিয়ে বর্তমানে তা গোপন রেখেছেন।

অতএব উপরোক্ত দুই জনের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করতে জনাবের মর্জি হয়।