১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

মুন্সিগঞ্জে ফার্নিশ ওয়েল ডাকাতি মামলার মাস্টারমাইন্ড রাহাত গ্রেফতার

  • আপডেট: ০৯:৩১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার বহুল আলোচিত ফার্নিশ ওয়েল ডাকাতি মামলার পলাতক প্রধান আসামি কুখ্যাত নৌ ডাকাত রাহাত হোসেন (৩৫) কে ঘটনার সাত মাস পর গ্রেফতার করেছে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ভোরে কিং ফিসার শিপিং লাইন্সের ওটি বিন জামান-১ নামের তেলের ট্যাংকারে ৩৬০.০৩৬ মেট্রিক টন ফার্নিশ ওয়েল যাহার আনুমানিক মূল্য – ৩,৫০,০০,০০০ টাকা নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ সামিটের ঘাট থেকে গাজীপুরের কড্ডা পাওয়ার প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন চর মুক্তারপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনায় দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত একদল নৌ ডাকাত ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে স্টাফদের জিম্মি করে সেটি সোনারগাঁও থানার তেতৈতলা বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যায়। পরে ফার্নিশ ওয়েল অন্য বাল্কহেডে তুলে সিরাজগঞ্জের চৌহালি এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে সরিয়ে নেয়া হয়।

ঘটনার পর মুক্তারপুর নৌ পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি করা তেলসহ এমবি ভূঁইয়া নামের বাল্কহেড আটক এবং এ ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৭ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও নৌ ডাকাত রাহাত হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য একাধিকবার অভিযান চালিয়েও সফলতা মেলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার মোগড়াপাড়া কলেজ রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মুক্তারপুর নৌ পুলিশ জানায়, রাহাতের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

মুন্সিগঞ্জে ফার্নিশ ওয়েল ডাকাতি মামলার মাস্টারমাইন্ড রাহাত গ্রেফতার

আপডেট: ০৯:৩১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার বহুল আলোচিত ফার্নিশ ওয়েল ডাকাতি মামলার পলাতক প্রধান আসামি কুখ্যাত নৌ ডাকাত রাহাত হোসেন (৩৫) কে ঘটনার সাত মাস পর গ্রেফতার করেছে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ভোরে কিং ফিসার শিপিং লাইন্সের ওটি বিন জামান-১ নামের তেলের ট্যাংকারে ৩৬০.০৩৬ মেট্রিক টন ফার্নিশ ওয়েল যাহার আনুমানিক মূল্য – ৩,৫০,০০,০০০ টাকা নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ সামিটের ঘাট থেকে গাজীপুরের কড্ডা পাওয়ার প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন চর মুক্তারপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনায় দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত একদল নৌ ডাকাত ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে স্টাফদের জিম্মি করে সেটি সোনারগাঁও থানার তেতৈতলা বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যায়। পরে ফার্নিশ ওয়েল অন্য বাল্কহেডে তুলে সিরাজগঞ্জের চৌহালি এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে সরিয়ে নেয়া হয়।

ঘটনার পর মুক্তারপুর নৌ পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি করা তেলসহ এমবি ভূঁইয়া নামের বাল্কহেড আটক এবং এ ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৭ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও নৌ ডাকাত রাহাত হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য একাধিকবার অভিযান চালিয়েও সফলতা মেলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার মোগড়াপাড়া কলেজ রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মুক্তারপুর নৌ পুলিশ জানায়, রাহাতের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।