রাজধানীতে ডাকাতি: র্যাবের ইউনিফর্ম, খেলনা পিস্তলসহ গ্রেফতার ৮

- আপডেট: ০৯:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৮০০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় র্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে র্যাবের পোশাক, খেলনা পিস্তল,ব্যাজ,হ্যান্ডকাফসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মিন্টু হালদার (৪২), নাজমুল হাসান, নির্মল হালদার (৩৭), সালাউদ্দিন (৩৫), দেলোয়ার হোসেন সিকদার (৫৫), সৈয়দ শামীম হোসেন (৪৫), পবিত্র পাল (৩৮) ও বলরাম চন্দ্র পাল (৩৭)।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, গত ২৮ জুলাই বিকেল ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে রঞ্জন চন্দ্র সিংহ নামের একজন ব্যক্তি হেঁটে সচিবালয় মেট্রো স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছলে ৩ থেকে ৪ জন লোক র্যাবের পোশাক পরা অবস্থায় তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলতে চেষ্টা করে। এসময় তিনি তাদের হাত থেকে বাঁচতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ভর্তি ব্যাগ রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন। তখন র্যাবের পোশাক পরা ব্যক্তিরা ধাক্কা দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই ব্যাগে নগদ ৪ লাখ টাকা ও প্রায় ১১ ভরি সোনা ছিল। পরে এ ঘটনায় রঞ্জন চন্দ্র সিংহের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই শাহবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানার একটি চৌকস অভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই দিনই শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আট ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত তিনটি র্যাব ইউনিফর্ম (শার্ট), একটি প্যান্ট (র্যাব ইউনিফর্ম), দুইটি র্যাবের হ্যাঙ্গিং ব্যাজ, চারটি র্যাবের সোল্ডার ব্যাজ, ছয়টি র্যাবের র্যাঙ্ক ব্যাজ, একটি র্যাবের লেনিয়ার্ড, একটি র্যাবের টিউনিং হ্যাঙ্গিং ব্যাজ, একটি র্যাব লেখা ক্যাপ, ১১টি মোবাইল ফোন, দুইটি খেলনা পিস্তল, দুইটি হ্যান্ডকাফ, দুইটি সিগন্যাল লাইট, একটি হিরো স্কুটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা রাজধানীর তাঁতীবাজারে সোনাপট্টি এলাকায় আগত সোনা ব্যবসায়ীদের অনুসরণ করে সুবিধাজনক স্থানে পথরোধ করে র্যাব ও ডিবির পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে তারা। গ্রেফতারদের নামে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অন্যান্য পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।